পাতা:জ্ঞানাঙ্কুর ও প্রতিবিম্ব - চতুর্থ খণ্ড.pdf/৩৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্ঞা মাকুর অt2, ১২৮৩) শূন্য মনে দ্বারে দ্বারে পরিভ্রমণ করিতাম, সেও আমার সুখ ছিল । সেও আমার আনন্দ ছিল । সকলে ভখন আমার সহিত আদর করিয়া কথা কহিত,অণমণকে লইয়া সমবয়কেরা খেলা করিত, সকলে ডাকিয়া কথা কহিত । সে একদিন ছিল । সে দিন আর কিছুতেই আসিবে না । সে মুখের দিন গিয়াছে, সে স্বপ্ন ভাঙ্গিয়াছে, সে আশা মিটিয়াছে। নরেন্‌ ! এখন আমি চণ্ডাল অপেক্ষণ ও ঘৃণ্য । অামার ছায়া স্পর্শ করিতেও লোকে সকুচিত হয়। কিন্তু আমার দোষ কি ? আমি কি পাপ করিয়াছি ? ংসারের অবিচার । পরের পাপে আমাকে কষ্ট সহ করিতে হুইবে ! এই কি সমাজের নিয়ম ? এই কি সংসারের ব্যবস্থা ? পাপ, প্রেত, পিশাচ ৰুদ্ৰকাস্তুের জন্য অ|”— বলিতে বলিতে যুবতী মনোরম উন্মাদিনীর ন্যায় কম্পান্নিত কলেবরে দণ্ডায়মান হইলেন । র্তাহার লোচন যুগল আকৰ্ণ বিশ্রান্ত হইল। ললাটে কৃষ্ণ শিরা উদ্ভান্ত হইল। কঁাপিতে কঁাপিতে ভগ্ন স্বরে যুবতী মনোরম। বলিতে লাগিলেম,— “পিশাচ ৰুদ্ৰকাস্তের জঘন্য ব্যবহার জন্য আমি নিরপরাধিনী আজীবন কাল যন্ত্রণানলে ভস্মীভূত হইব ? আমার অপরাধ কি ? পাপীর শাস্তি বিমল । ৩৭১ হইল না । সে নারকী ঘোর ছুষ্কার্য্য করিয়া পুণ্যাত্মারূপে সংসারে সমাদৃত হইতে লাগিল । অণর আমি নিরপরাধিনী পরকৃত পাপের জন্য শাস্তি ভোগ করিতে লাগিলাম । হায় । ইহারই নাম শাসন ! ইহাকেই সমাজ বলিয়া লোকে সম্মান করে । এই রাজ্যের নাম পুণ্যময় সংসার । নরেন্দ্র, প্ৰাণেশ্বর ! প্রিয়তম ! কিসে আমার এ যন্ত্রন অপগৰ্ত হইবে ? কি করিলে আমার শাস্তির অন্যথা হুইবে ? কি উপায়ে জগত সংসার আবার আমাকে নিষ্পাপী বলিবে ? ওঃ ! আমি পাপী মই, অথচ লোকে আমাকে পাপী বলিবে ? সছে ন নরেন্দ্ৰ ! এ কষ্ট অসহ । ইহার উপায় কর ।” - মনোরমার ক্লেশের সীমা নাই । নির্দোষীকে দোষী বিবেচনায় যদি সমাজ চিরদিনের মত অবজ্ঞা করে, তাহা হইলে তদপেক্ষ ক্লেশের কারণ আর কি হইতে পারে ? মনোরমার হৃদয়ে এককালে শত শত বৃশ্চিক দংশন করিতেছে। যন্ত্রণায় অস্থির হইয়া সুন্দরী মনোরমা হৃদয়ের ক্লেশ শাস্তির উপায় প্রার্থনা করিতে লাগিলেন । সুশীলার কষ্ট দেখিয়া নরেন্দ্র যার পর নাই ব্যথিত হইলেন। র্ত হার লোচন দিয়া দর দরিত ধারায় অশ্রু নিঃস্থত হইতে লাগিল। রোদন পরা এ কষ্ট