পাতা:জ্ঞানাঙ্কুর ও প্রতিবিম্ব - চতুর্থ খণ্ড.pdf/৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

vôR বৃদ্ধ বনিভা শহর স্বীয় আত্মার কল্যাণ কামনা করিত, তাছার রচিত পদাবলী সকলের তুগুগ্রে বিরাজ করিত। দুর্ভাগ্য বঙ্গরাজ্যে তাছার জন্ম হইয়াছিল। অধিকাংশ ব্যক্তি র্তাহার নামও জানেন না। এই জন্য বলি এদেশের প্রকৃত উন্নতির এখনও অনেক বিলম্ব । এই রাজবংশীয়ের ভাবতেই বিদ্বান ও বিদ্যানুরাগী ছিলেন । র্তাহীদের যত্নে সংস্কৃত চচ্চার যে কতই উন্নতি হয়, দেশের রীতি নীতির যে কতই সুব্যবস্থা সাধিত হয়, অপরিমিত উৎসাহ দানে যে কতই নুতন মহাত্মা ব্যক্তির স্বাভাবিক ক্ষমতা বিকসিত ছইয়া দেশের ও ভাষার গৌরব বুদ্ধি করে তার ইয়ত্তা নাই । সংগীতশাস্ত্রে ইহঁদের বিশেষ পারদর্শিতা ছিল । ইহঁদের দ্বারা সংগীতশাস্ত্র অনেক পরিমাণে উন্নতিলাভ করিয়াছিল । বিশেষতঃ মহারাজ গিরীশসঙ্গ ও তৎপুত্ৰ ঐশচন্দ্র বাছাছুরের সময়ে সংগীতের বিশেষ উন্নতি হয় । আমরা "ক্ষিতীশবংশাবলি-চরিত’ সমালোচনায় অনেক স্থাশ ব্যয় করি. লাম। কিন্তু এ পুস্তক মধ্যে যে সকল বিবরণ আছে, তাহা পাঠকগণের গোচর করা ছইল না। বস্তুতঃ তাহা অসম্ভব । সুতরাং আমরা আর দুই ক্ষিতীশ-বংশাবলি-চরিত (জ্ঞানfকুর অঞ্চ, ১২৮২ একটা মাত্র কথা বলিয়া প্রস্তাব উপ সংহার করিব । গ্রন্থের ভাষাটা প্রাঞ্জল, এবং বিশুদ্ধ। স্থানবিশিষে এক এক প্রস ঙ্গের মধ্যস্থলে গ্রন্থকার স্বতন্ত্র প্রসঙ্গের সমাবেশ করিয়াছেন এবং বহুক্ষণ পরে আবার পূর্বকথার আবি র্তাব করিয়াছেন। এরূপ উদাসীন ভাবে ভিন্ন কথা সন্নিবেশ করা সম্পূর্ণ রীতি বিৰুদ্ধ ও পাঠকের অসন্তোষ জনক । এবম্বিধ সামান্য সামান্য দোষ গ্রন্থে বিরল নহে। গ্রন্থকারের মত সকলও সকল সময়ে সমীচীন বোধ হয় না । ডিনি অধিকাংশ, — অধিকাংশ কেন, সমস্ত রাজগণকে নিরৰচ্ছিন্ন প্রশংসা করিয়াছেন। কিন্তু আমরা কদাচ এ প্রস্তাবে অনুমোদন করিতে পারি না, আমরা কখনই সকলকে তাদৃশ সম্মান দানে প্রস্তুত্ত নহি। মনুষ্য দোষ ও ভ্রমে পরিপূর্ণ। যদি শুনি অমুক মনুষ্যের জীবন্মধ্যে কখন কোন দোষ বা ভ্ৰম লক্ষিত হয় নাই ভাহা কুইলে নিশ্চয়ই আমরা সে (ব্যক্তিকে মনুষ্য বলিরা বিবেচনা করিব না। নদীয়ারাজের মনুষ্য বলিয়া আমাদের জ্ঞান আছে, সুতরাং তাছাদের দোষ আছে, ভ্রান্তি আছে । ইতিহাস লেখকের লেখনীমুখে তৎসমস্ত অব্যক্ত থtখ। কখনই বিছিভ মস্থে । ইতিহাস লেখকের পক্ষে এটা মহৎ দোষ, ধাহী