পাতা:জ্ঞানাঙ্কুর ও প্রতিবিম্ব - চতুর্থ খণ্ড.pdf/৩৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্ঞানীকুর অf৪, ১২৮৩) “এ কি পরিহাস মনে রমে ?” ‘আমি দেখিতেছিলাম তুমি আমায় যথার্থ ছাড়িতেছ কি না। ’ বিমল । Jኖፅ নিঝরিণী সহ স্বীয় অশ্রুবারি মিশ ইবে, বন বিছঙ্গিনীর সহিত স্বীয় স্বর মিশাইয়া প্রেমের গীতি গাইলে, বন নরেন্দ্র গম্ভীর ভাবে কছিলেন,— কপোতকে নিজের দৃষ্টান্ত দেখাইয়া “শুন মনেগরমে ! তোমায় মনের কথা বলি শুন । এ জগতে আমার এক বৃদ্ধ জননী ভিন্ন আর কেহ নাই। র্তাহারও যে দশ তাহাতে র্তাহার দীর্ঘ জীবনের আশা নাই। বল মনে রমে অামাকে সংসারে বদ্ধ করিবণর অণর কি বন্ধন আগছে ? মনে রমে । আজিও আমি সংসারে স্বাধীন হই নাই । জননীর ক্লেশাশঙ্কায় আমাকে অনভিমত কাৰ্য্যও করিতে হইতেছে । আজ যদি আমি স্বাধীন হই—তুমি দেখিবে মনোরমা ! কালি আমি এ জগতে আর কাহার ভয়ে ভীত হইব না। যদি এ স্থান আমাদের না চাহে,আমি মুক্তকণ্ঠে বলিতেছি, মনোরমে ! এমন স্থান এ জগতে যথেষ্ট আছে,যথায় এ প্রণয়ের বিরোধী নাই। মনোরমা ! আমি তোমার জন্য জগন্নাথ ত্যাগ করিব, সংসার ত্যাগ করিব, কলঙ্ক বহন করিব, সকলি উপেক্ষা করিব। আর মনোরম ! আজি যদি তুমি বল, নরেন্দ্র তোমার কেহ নহে, কালি হইতে তাছা হইলে আর তুমি নরেন্দ্রর নাম শুনিতে পাইবে না । নরেন্দ্র জন সমাজ ত্যাগ করিয়া কল্য হইতে অরণ্যচারী হইবে । সেই নির্জন অরণ্যে বসিয়া গিরি নিঃস্থত কপেভিনীর প্রেমে ভাসিতে নিষেধ করিবে, সহকারকে সোহাগে মাধবীলতা বক্ষে জড়াইতে বারণ করিবে, "আর তপস্বী বেশ ধরিয়া ইষ্টমন্সের ন্যায় আজীবন তোমার নাম জপিবে । মনোরমা ! আমি তোমার্তেই জীবন সমর্পণ করিয়াছি। সুখ, দুঃখ ভোমারই উপর ঢালিয়া রাখিয়াছি। তুমি দুঃখিত হইওন মনোরম তোমার দুঃখ দেখিলে আমার বড় দুঃখ হয়। মনোরম ! আমি পাষণে নহি ।” মনোরমা নরেন্দ্রর বক্ষ মধ্যে বদন রথিয়া কছিলেন,— - “এ দুঃখিনীর অদৃষ্টে এ কি মুখ নরেন্দ্র ? এত সুখ আমার কপালে ! আমার এত মুখ সহে না । সত্য বলিতেছি নরেন্দ্ৰ ! আমি যখন তোমার নিকট থাকি, তখন যেন বোধ হয় যে আমি মুখ সাগরে ভাসিতেছি । ছতভাগিনীর অদৃষ্টে এত সুখ। এ সকল ছাড়িয়া কেমন করিয়া থাকিব ? তুমি বিদেশে গেলে আমার কি হইবে নরেন্দ্র ? আমি তোমার সঙ্গে গেলে হয় না ?” e “সে কি সম্ভব ?" “সম্ভব নয় তা আমি জানি । দেখ