পাতা:জ্ঞানাঙ্কুর ও প্রতিবিম্ব - চতুর্থ খণ্ড.pdf/৩৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্ঞানাকুর অtঃ, ১২৮৩) নদী বক্ষে কুজ্জ্বটিকা । ভরণী সেই ঘোর কুঞ্জটিকা রাশি ভেদ করিয়া মেঘ মধ্যস্থ কপোতিনীর ন্যায় ভাটার স্রোতে ভাসিয়া চলিতেছে । তরণী তীরবেগে চলিতেছে । তন্মধ্যে দুই জন আরোহী। সেই দুই জন নরেন্দ্র ও মনোরম ৷ সেই স্রোত প্র বাহী তরণী মধ্য হইতে কোকিল বিনি- * ন্দিতা মধুময়ী কণ্ঠে অমৃত নিঃসারিনী সঙ্গীত সমুথিত হইয়া দিগন্তু ছাইয়। ফেলিল । মনোরম গাইতেছেন । সেই মনোহর সময়ে, হৃদয়ের অতি গুঢ়তম প্রদেশের অতি গৃঢ়তম ভাব, বীণা বিনিন্দিত স্বরে মনোরমার বদন বিনিগত হইতে লাগিল । সঙ্গীত যেন জাম্বুবী দেছাবরণকারী কুঙ্কটিকা রাশির সহিত মিশিয়া গেল, যেন ভাগিরথীর কল কল শব্দের সহিত সংযুক্ত হইয় গেল, যেন সেই শীতল সমীরণ সেই সম্মোহিনী সঙ্গীত শব্দ সঙ্গে করিয়া কোথায় লইয়া গেল, যেন সেই সঙ্গীতধ্বনি হৃদয়, মন, প্রাণ উদাস করিয়া আত্মাকে সঙ্গে লইয়া চলিয়া গেল। যে শুনিল সে ভণবিল, হায় কি শুনিলাম । মনোরম গাইতে লাগিলেন,—

  • জীবন মরণ মম

তোমারি অধীন কণন্ত । তোমারি কারণে নাথ তুচ্ছ এ বিশ্ব নিতান্ত । বিমল । মানবের বাক্যবাণ, বিঁধে বিহদিণী প্রাণ, গঞ্জনার অপমান, সরল অবলণর সদা করে, বঁধু! প্রাণান্ত । সহেfছ সব সহিব, ভুগেছি আর ভুগিব, মারিলে ও ন মরিব তোম{fর কৰুণ লোভে রছেছিপ্রিয় ! প্রশান্ত । মিন্টে না মনের অংশ, তব দর্শন পিপাসা, মনবাসে বাধি বাস। অtশ। রাশি মিলি রহে সদ। হে কান্ত ! অশান্ত । যদি নাথ কর স্ত্রণ, সব সহে তা সবে না, জীবন যাবে রবে ন}, তখনি অবনী হতে , যাবে এ নাম একান্ত । ” নরেন্দ্র ভস্মন হইয়া সঙ্গীত শুনিতেছিলেন। সঙ্গীত থামিল। র্তাহার চেতন । হইল। মনোরমার নিৰুপম বদন মাধুরীর প্রতি সক্ষে দৃষ্টিদিয়া কছিলেন,— ‘মনে রমে ! তোমার কি বিশ্বাস হয়, কখন তোমার ভয় ফলিবে ? প্রিয়তমে ! অদ্যপি যদি তোমার ঐ বিশ্বাস থাকে, তাহা হইলে বল কি করিলে তোমার বিশ্বাস বিদুরিত হুইবে ? মনোরমা ! তোমার শান্তি