পাতা:জ্ঞানাঙ্কুর ও প্রতিবিম্ব - চতুর্থ খণ্ড.pdf/৩৯৭

○bro বিমল । (জ্ঞাম ফুর অঃি, ১২৮৩ ও সুখ আমার এ জীবনের এক মাত্র না। আমি রমণী। আমার হৃদয় দু প্রার্থনা । তাছাই আমার জীবনের এক মাত্র কার্য্য স্বরূপ হইয়া উঠিয়াছে। কিন্তু মনোরমে ! আমি কিছুতেই তোমাকে শাস্তি ও সুখ দিতে পারিলাম না । এ ঘোর দুঃখ কিছুতেই যাইবে না, মনোরমে।” “নরেন্‌ ! তুমি আমার জন্য দুঃথিত হইও না । আমার জন্য অর ভাবিও না। আমার জন্য তুমি যথেষ্ট ভাবিয়াছ। তুমি আমার জন্য ভাব বলিয়াই অামি তোমাকে এত ভাবাই । আর নরেন্‌ ! তুমি ভিন্ন আমার জন্য অণর কে ভাবিবে ? আমার আর আছে কে ? থাকিলেও তোমাকে মমের কথা বলিয়া, তোমার নিকট হৃদয় খুলিয়া কাদিয়া যে সুখ, আর জগতে এমন কে আত্মীয় আছে, যাহার নিকট আমি সেই সুখ প্রত্যাশা করিতে পারি? নরেন্‌ ! তুমি আমার জন্য অণর ভাবিও না ।” নরেন্দ্র বিষাদ ব্যঞ্জক স্বরে বলি লেন,— “মনোরমে ! তুমি আপনি যে আপনাকে ঘৃণা কর সে জন্য আমার বড় দুঃখ হয় । বল মনে রমে ! কি করিলে তোমার মন সুস্থ হয় । মনোরমা ! কেন তুমি এমন করিয়া কষ্ট ভোগ কর।” মনোরমা কছিলেন,— __“নরেন্‌ ! তুমি কষ্ট মনে করিও বর্বল । আমার যখন মনে হয় যে, এ জীবনের মত সততা আমাকে এককালে ত্যাগ করিয়াছে, যখন মনে হয় যে, সংসারে লোক আমাকে অসতী, কুলটা, বারবণিতাগণের সহিত সমান বলিয়া মনে করে, যখন মনে হয় এ জীবন আমাকে ঘৃণাৰ্ছ হইয়া পাত করিতে হইবে, নরেন্‌! তখন আমার হৃদয় ফাটিয়া যায়। তখন আমার মনে হয় যে, আমি কেন?এভদিন মরিলাম না । তখন ভাবি আমি বুঝি তোমাকেও কলুষিত করিতেছি। নরেন্‌ ! আমি তো কোনকালে "মরিতাম । মরি মাই এক কারণে। এক বন্ধন আমি ছিন্ন করিতে পারিলাম না। সে কারণ, সে বন্ধন তুমি । নরেন্‌ ! আজি যদি আমি মরিয়া যাই, কালি হইতে আর তোমাকে দেখিতে পাইব না, তোমার সহিত আত্মীয়ভা তো ঘুচিয়া যাইবে। তবে মরিয়া মুখ কি নরেনৃ ? তোমাকে ছাড়িয়া মরিলেও সুখ হইবে না । এ জীবনের যত গঞ্জন। তাছাও ভাল, তথাপি তোমাকে ছাড়িয়া মরা ভাল নয়। নরেন্‌! আমি তোমাকে ছাড়িয়া মরিতে পারিলাম না, পারিবও না । , স্বর্গের দ্বার যদি এখনি আমার । নিমিত্ত নির্মুক্ত হয়, আর যদি এখনি মা যাইলে আমার জন্য সে স্বার চিরৰদ্ধ হয়, তথাপি নরেন্দ্র আমি তোমাকে ।