পাতা:জ্ঞানাঙ্কুর ও প্রতিবিম্ব - চতুর্থ খণ্ড.pdf/৪০৫

3ూు “চিত্রে নিবেশ্য পরিকম্পিতসত্ত্ব যোগ" রূপেণচযেন মনসা বিধিনা কৃতা নু। স্ত্রীরত্নস্থষ্টিরপর প্রতিভাতি সা মে ধাতুৰ্ব্বিভুত্বমনুচিন্ত্য বপুশ্চ তস্যাঃ ।” গঠনে অঙ্গ কঠিন হইবে, এই আশস্কায় বিধাতা স্বয়ং যে অঙ্গ চিত্রিত করিয়া চেতনাদান করিয়াছেন, যে চিত্রে তিনি এই কঠিনতর পাঞ্চভৌতিক বর্ণ কি তুলিকার সম্পর্ক রাখেন নাই, তাহার আয়ন্ত্ৰীভূত সমস্ত রূপ রাশিই যাহার বর্ণ এবং বিধ তার মনই যাহার আঁকিবার তুলিকা ; অধিক কি, যে বিধাতা স্থাবর জঙ্গম সমুদায় পদার্থেরই এক মাত্র বিভুত্বের নির্ণায়ক, যে শকুস্তলা সেই বিধাতারও বিভুত্বের নির্ণয়ক হইয়াছেন ; তাছা কে আঁকিবে ? দুষ্মস্তের প্রবেশ হইতে প্রস্থান পর্য্যন্ত হৃদয়ের সহিত যিনি শকুন্তলাকে দেখিয়াছেন, তিনি জানেন যে শকুন্তলার মুৰ্ত্তি চিত্ৰিভ হুইবার নছে । শকুস্তুলা মনের সম্পত্তি—যিনি জগতের সমস্ত ভাবুকের শিরোভূষণ, সেই কালিদাসেরই মনের সম্পত্তি ; মনের সমগ্র শক্তি নিয়োগ কর, দেখিতে পাইবে শকুন্তলার কোন একটা প্রত্যঙ্গও মনের আয়ত্তের বিষয় নছে । যত দেখ, ততই শোভার অতিশয্য ; যত ভাব, তত্তই সুমধুর । শক্তির লেখনী" কালিদাসের করসংস্পর্শে কেবল যে এই রত্বই প্রসব শকুন্তল । (জ্ঞানীকুর শ্রীঃ ১১৮৩ করিয়াছেন,তাহা নয়। ঐলেখনীই কাব্যে রামগিরি শিখরে যক্ষের বিরছে উন্মাদিনী, ভব সংসারে কুমারের জননী, এবং ধরাধামের অতুল্য নরপতি বংশ রঘুবংশের জনয়িত্রী। গ্রীষ্ম বর্ষ শরং প্রভৃতি ঋতু লক্ষী সেই লেখনীরই অমূল্য সম্পত্তি, সেই লেখনীই ভবমাতা ভবগেহিনীকে স্তবে তুষ্ট করিয়াছেন, সেই লেখনীই শ্লোকাষ্টকে সমস্ত আদিরস নিবদ্ধ করিয়াছেন ; নাটকে শকুন্তলার ন্যায় বিক্রমোর্কশী ও সেই লেখনীর অন্যতর সম্পত্তি । কেহ কেছ বলেন, এই সকল কাব্য নাটকাদির ন্যায় মালবিকাগ্নিমিত্রও কালিদাদের সম্পত্তি । মালবিকাগ্নিমিত্রের প্রস্তাবনায় যখন মালবিকাগ্নিমিত্র কালিদাস-গ্রথিত-বস্তু বলিয়া উল্লেখ আছে, তখন অবশ্য আমরা উহা কালিদাস প্রণীত বলিয়া স্বীকার করিলাম ; কিন্তু যে কালিদাস শকুন্তলা, বিক্রমোর্কশী, রঘুকুমার প্রভৃতি প্রণয়ন করিয়াছেন, উহার প্রণেতাও কি সেই কালিদাস ? কখনই না । বাল্যকালের রচনা, হইলেও কি, যে কালিদাস বিক্রমোর্কশীর প্রস্তাবনায় “যাবদর্য্যবিদগ্ধমিশ্রন্থে শিরসা প্ৰণিপত্য বিজ্ঞাপয়ামি, প্রণয়িয়ু দক্ষিণ্যবশাৎ অথবা সদ্বস্তুবহুমানাৎ ॥ শৃণুত জনা অবস্থানাংক্রিয়ামিমাং