পাতা:জ্ঞানাঙ্কুর ও প্রতিবিম্ব - চতুর্থ খণ্ড.pdf/৪০৬

দামাকুব শ্র ৪, ১২৮৩ কালিদাসস্য ।” শকুন্তলর প্রস্তাবনায় । “ অপরিভোষ্যৎ বিদুষাং । ন সাধু মন্যে প্রয়োগবিজ্ঞানম । বলবদপি শিক্ষিতানাং । আত্মান্য প্রত্যয়ং চেতঃ ।” রঘুবংশের প্রারম্ভে । মন্দঃ কবিযশঃ-প্রাথী গমিষ্যামুপহাস্যতাম । প্রাংশুলভ্যে ফলে লোভাদুদ্ধাহুরিব বামনঃ ।” লিখিয়াছেন, সেই কালিদাস কি মালবিকাগ্নিমিত্রের প্রস্তাবনায়,— “পরিপাশ্বিকঃ । প্রথিতযশসাংস্বাবকসৌমিল্পকবিপুত্ৰাদীনাং প্রবন্ধানতিক্রম্য বর্তমানকবেঃ কালিদাসস্য রুতে কিং কতো বহুমানঃ ? স্বত্র। অয়ি বিবেকশুন্যমভিহিতম্ ; পশ্য । “ পুরাণমিত্যেব ন সাধু সৰ্ব্বং । ন চাপি কাব্যং নবমিত্যবদ্যম । সত্তঃ পরীক্ষ্যান্যতরস্তজস্তুে মূঢ়ঃ পরপ্রত্যয়নেয়রুদ্ধিঃ।" লিখিতে পারেন ? বিশেষ যে কলিদাস মালবিকাগ্নিমিত্র সমগ্র রচনা করিয়াও পরে রত্নাবলীকার প্রভৃতিকে নির্দেশ পূর্বক ঐ রূপ কবিতা ঐ স্থলে রাখিতে পারিয়াছেন, পরে শকুন্তলা প্রভৃতির নাম মনে হওয়াও র্তাহার পক্ষে অসম্ভব । মালবিকাগ্নিমিত্রের শকুন্তল به میانی গণপ ও ভাব আদ্যোপাস্ত রত্নাবলী হইতে গৃহীত, অথচ রত্নাবলী হইতে যতদূর হইতে পারে, ততদূর নিকৃষ্ট । ধিনি তাহাও বুঝিতে না পারিয়া ঐ রূপ কঠোর ভাষায় নিজের গরিমা প্রকাশ করিতে পারেন, তিনিই কি পরে লেখনী হস্তে শকুন্তলার নিকট উপস্থিত হইবেন ? ইহা হইতে হাসিবার বিষয় আর কি হইতে পারে ? মালবিক কালিদাসের নিতান্তু বাল্যকালের সর্থী, স্বীকার করিলাম, কিন্তু যিনি মালবিকাকে লইয়া রঙ্গ মধ্যেই অতদূর পীড়া পীড়ি আরম্ভ করিয়াছেন, র্তাহার বালকত্ব কিরূপ ? মালবিকার গ্রন্থকার যে একজন পূর্ণ বয়স্ক উদ্ধত যুবক, তাহাতে সন্দেছ মাত্র নাই । ভাল, প্রথম যৌবন বিকারে লোকে উদ্ধত স্বভাব হইয়া থাকে এবং ঐ অবস্থাই কালিদাসের কাব্য রচনার প্রথম অবস্থা, স্বীকার করি লেও যে কালিদাস,—রাম কালে রাবণ বধ করিয়াছিলেন বলিয়া, বাল্যকালে তাড়কা বধে ও রামের ঘৃণার ভাব উল্লেখ করিয়াছেন, সেই কালিদাস, শকুন্তলা রচনার পর নিজের সম্পত্তি হইলে সমগ্র মালবিকাগ্নিমিত্র খনি কি ভষ্মসাৎ করিতে পারেম নাই ? অন্ততঃ ঐ কবিতাটার বিষয় কি একবার ভাবিতেও পারেন নাই ?