পাতা:জ্ঞানাঙ্কুর ও প্রতিবিম্ব - চতুর্থ খণ্ড.pdf/৪১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

wసిy অচলা । আর, নব্য জ্যোতিৰ্ব্বিদৃগণের মতে পৃথিবী সচল। এই দুই পক্ষ এ পর্য্যন্ত অভ্রান্তরূপে নিণীত হইয়াছে কি না বলা যায় না । ফল আর্ষ্য শাস্ত্রের যেরূপ গতি দৃষ্ট হয়, তাহাতে উভয় রূপই প্রতিপন্ন হইতে পারে । স্ফুট গণনা, সঞ্চার গণনা, গ্রহণ গণনা, —যে কিছু জ্যোতির্ষিক কাৰ্য্যযোগ, সমস্তই পৃথিবী বা রাশিচক্র, একটা ঘুরিলেই” সিদ্ধ হয়। যুক্তি ও খণ্ডন উভয় পক্ষেই তুল্য রূপে বৰ্ত্তমান । সুতরাং, কোন মণ্ড যে সত্য, তাহা নির্ণয় করা সহজ নছে। বাছাই হুইক, আমরা যখন জ্যোতিঃ শাস্ত্রের কথা বলিতেছি না, তখন সে সকল যুক্তি ও খণ্ডন উদ্‌ঘাটিত না করাই ভাল । তথাপি, কিয়দূরে তাহার কিছু কিছু বলিব । আৰ্য্যজাতির জ্ঞান উহার কত দুর স্পর্শ করিয়াছিল, তাহাও দেখাইব । বস্তু কথা এই যে,শাস্ত্রীয় বচন দ্বারা উভয় পক্ষই সমর্থিত হইতে পারে। যে শাস্ত্রে পৃথিবী অচল বলিয়া পরিচিত, সেই শাস্ত্রের বচনান্তর দ্বারাই পৃথিবীর চলবত্বা সিদ্ধি করা যাইতে পারে । - স্থৰ্য্যসিদ্ধান্ত ও সিদ্ধান্তশিরোমণি প্রভৃতি জ্যোতিগ্রন্থে পৃথিবী অচলা বলিয়া নিৰ্দ্ধারিত আছে । তদমুসারে এতদ্দেশীয় লোকেরাও অচল। পক্ষে বিশ্বাস রক্ষা করিতেছে ; সুতরাং অপৰ্য্যজাতির ভূরভাশু । {জ্ঞfনাকুর শ্রী, ১২৮৩ সে পক্ষ প্রকট করিবার আবশ্যক নাই । তবে চল পক্ষের বিষয়ই আমাদের এখন বিচাৰ্য্য । এই চল পক্ষে অন্য কোন অর্য্যের অস্থিা থাকুক বা না থাকুক, প্রসিদ্ধ জ্যোতির্বেত্ত আর্যভট্ট এইমতের সম্পূর্ণ পক্ষপাতী ৷ যথা,— “ভ-পজভরঃ স্থিরো ভু-রেবাবুত্ত্যবৃত্তা প্রাভিদিবসিকাং বুদযাস্তে সম্পদয়তি নক্ষত্র এহানাম । ” (ইভ্যাদি আর্যভট্টীয় গ্রন্থ দেখ ) অর্থ এই যে, জ্যোতিষ্কমণ্ডল স্থির ; পৃথিবীই স্বয়ং আবৰ্ত্তন দ্বারা এই নক্ষত্র গণের প্রতিদিবসিক উদয়াস্ত সম্পাদম করিতেছে । এই মহাত্মা আধুনিক জ্যোতির্বিদগণের ন্যায় পৃথিবীর আহ্নিক ও বার্ষিক দ্বিবিধ গতি স্বীকার করেন । *

  • “পৃথিবী আবৰ্ত্তিত হয়” এই কথা শুনিয়। মনে করিবেন না যে, অর্ষ্যভট্ট অধুনিক। পৃথিবী যৌবন কালে তীক্ষ বুদ্ধিধর সস্তান প্রসব করেন মাই, আর বৃদ্ধ বয়সে গ্যালেলিওর ন্যায় একটিমাত্র মনীষণসম্পন্ন সন্তান প্রসব করিয়াছেন,ইছা মনে স্থান দিতে নাই | প্রসিদ্ধ জ্যোতিবিদ ব্ৰক্ষ গুপ্ত, যিনি ৫৫০ শকে জীবিত ছিলেন, এবং উহার পৌৰ্ব্বকাদিক বিষ্ণু গুপ্ত, সেন, হুর্গ সিংহ,—ইহঁীরা যাহাকে বৃদ্ধ বলিয়া সম্মান করিয়া ীিরছেন, উছাকে (অর্ষ্যভট্টকে) রূদ্ধের ন্যায় মান্য না করা তরল বুদ্ধির কার্য ।