পাতা:জ্ঞানাঙ্কুর ও প্রতিবিম্ব - চতুর্থ খণ্ড.pdf/৪২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

868 বিমলা । স্থৰ্য্যকুমার কিঞ্চিৎকাল চিন্তা করিয়া কছিলেন,— “মা, লোক পাঠাইলে হুইবে না । কালি প্রাতে আমি স্বয়ং যাইব স্থির করিয়াছি ।” সরমা কছিলেন, — “আমি অনেক দিন তাহদের | দেখি নাই । আমিও তোমার সঙ্গে । ঘাই না কেন ?" “ন - এ সঙ্গে তোমার গিয়ে কাজ নাই। তুমি বরং পরে যাইও । আমার বড় ভাল বোধ হইতেছে না ।” সরমা বলিলেন,— “কি জানি ।” “ দেখ কালি আমার সহিত পুলিস সুপরিণ্টেণ্ডেণ্ট সাহেবের সাক্ষাৎ হইয়াছিল । আমি তাছাকৈ যত দূর জানিতাম সমস্ত বলিলাম । তিনি বলিলেন যে, অবন্তীপুরের | জমীদার বড় মন্দ লোক। এ ব্যাপারে তাহার কোন চক্রান্ত আছে বোধ ছয় । কথাটা আমার মনে লাগিয়াছে। আমি ৰড় অস্থির হইয়াছি। কালি প্রাতে যাই, কি বল ?” সরমা বলিলেন,— “দেখ তুমি এক গিয়ে কোন কার্য্য উদ্ধার হবে না। আমি সঙ্গে থাকুলে সব কাজ হতো ।” “ এ কথা আমি অস্বীকার করি না । এ হৃদয়ে তুমি বুদ্ধি, এ দেহে (छtनiङ्गझ। শ্রী, ১২৮৩ তুমি প্রাণ তা আমি মুক্তকণ্ঠে বলতে পারি।" সরমা হাসিত্তে হাসিতে বলিলেন,— “তবে বুদ্ধি প্রাণ ছেড়ে ভেড়াকান্ত হয়ে গেলেই কি, না গেলেই “এবারে না হয় তোমার বুদ্ধি একটু ধার করে নিয়ে যাব ।” “তবু আমাকে সঙ্গে নিয়ে যা ওয়া হবে না । সাধে কি বলি যে পুৰুষে ভাল বাস তে জানে না। আমি সঙ্গে না গেলে তুমি বাচ। তাই যাও।” সুর্য্যকুমার সরমণকে আলিঙ্গন করিলেন। সরমা ভুজ-লতা-দ্বারা স্বৰ্য্যকুমারের গলদেশ বেষ্টন করিয়া ধরিলেন । পরদিন প্রত্যুষে স্থৰ্য্যকুমার দেবরিকগদি সঙ্গে লইয়া পালকী করিয়া রামনগর যাত্র করিলেন । পঞ্চদশ পরিচ্ছেদ । দ্বিপ্রহর কালে রৌদ্র চম্‌, চম্ করিতেছে। আশ্রয় হইতে নিষ্ক্রান্ত হওয়া ক্লেশকর। হরিপাড়া গ্রাম যেন জনশূন্য বলিয়া বোধ হইতেছে। জনপ্রাণী সকলেই ছায়াতলে শয়ন করিয়া শ্রাত্তি লভিতেছে । গ্রামের এক পাশ্বে আম্ৰ, কঁঠাল, আভা, পেয়ার প্রভৃতি বিস্তর বৃক্ষের ঝোপ । সেই উদ্যান বা