পাতা:জ্ঞানাঙ্কুর ও প্রতিবিম্ব - চতুর্থ খণ্ড.pdf/৪২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

وSہ 8 লে চলিবে না ।” মনোরম বলিলেন,-- “বল !” যোগেশ কছিলেন,— “যখন প্রথমে আমার চৈতন্য হুইল, আমি দেখিলাম আমার শয্যার এক পার্শ্বে তুমি, অপর পার্শ্বে নরেন্দ্র বসিয়া প্রাণপণে আমার শুশ্রুষা করিতেছ। তোমরা আমার জন্য যেরূপ যত্নশীল ও উদ্বিগ্ন দেখিলাম, তাহাতে বুঝিলাম ভাই-ভগ্নী ততদূর হয় না। আমি অবাক হইলাম। সকলই স্বপ্ন বোধ হইতে লাগিল । কোথায় হইতে কোথায় অণসিয়াছি, তাহ কিছুই স্থির করিয়া উঠিতে পারিলাম না। যাহা হউক এ বিশ্ময় অধিকক্ষণ থাকিল না। অতি অণপ কথায় নরেন্দ্র আমাকে সমস্তই বুঝাইয়া দিলেন। আমি সেই দিন হইতে তোমাকে সোদরাপেক্ষ ক্ষেহ ও আপন জ্ঞান করি। নরেন্দ্র সংক্ষেপে আমাকে আত্ম পরিচয় দিলেন । তোমাকে জিজ্ঞাসা করিলাম। তুমি কাদিতে লাগিলে। আমার বড় কৌতুহল হইল, বড় দুঃখ হইল। পাছে তোমার চক্ষু দিয়া আবার জল পড়ে এই ভয়ে আর ও কথা তুলিলাম না । এই ব্যাপারের পর আমার বড় জ্বর হয় । নরেন্দ্র কি কাৰ্য্যে গিয়াছিলেন, তুমি আমাকে ঔষধ খাও য়াইতে আসিলে। আমি বলিলাম, ভগ্নি ! আমাকে আত্ম বিবরণ ন জা বিমল | (জ্ঞামাকুর জাঃ, ১২৮৩ নাইলে আমি কদাচ ঔষধ খাইব না। তুমি প্রতিজ্ঞা করিলে যে, আমার জ্বর সারিলে তুমি সমস্ত কথা বলিবে। ভগ্নি! আমার তো জ্বর সারিয়াছে । বল আজ তোমার কথা বল। তুমি আমাকে আপন হইতে আপন বিবেচনা কর তাহাতে আমার সন্দেহ নাই। তবে ভগ্নি ! আমাকে না বলিবে কেন ?” মনোরমা ক্ষণেক নীরবে থাকিয়া বলিলেন,— “বলিব,ভ্ৰাতঃ ! তোমাকেই বলিব। আমার শোকাবহ কথা শুনিবার একমাৰ তুমিই উপযুক্ত পাত্র।” যোগেশ আরও কৌতুহলী হই লেম । মনোরম বলিতে লাগিলেন,— “কিন্তু আমি বড় হতভাগিনী । ভয় হয় পাছে সমস্ত কথা শুনিয়া তুমিও আমাকে অন্তরের সহিত ঘৃণা কর, আমার সহিত সাদরে কথা ন কও, আমাকে দেখিলে মুখ ভার কর । আমার কপাল বড় মন্দ।" যোগেশ বলিলেন,— “মনোরমে! তোমার কাহিনীতে এমন কিছুই থাকিতে পারে না, যেজন্ত তোমাকে ঘৃণা করা যায়। তোমার চরিত্রে দোষ থাকা অসম্ভব। আমি দেখিলেও তাহা বিশ্বাস করিতে পারি না । তবে যদি তোমার কাহিনীতে সেরূপ কিছুই থাকে, নিশ্চয় জানিও আমি |