পাতা:জ্ঞানাঙ্কুর ও প্রতিবিম্ব - চতুর্থ খণ্ড.pdf/৪২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গুfনাকুর জাঃ, ১২৮৩) তোমাকে সাহস দিতেছি যে, তজ্জন্য ' আমার স্নেহ, মমতা টলিবে না, ভাঙ্গিবে না। মনোরমা ! কি বলিবে বল ।” মনোরমা উন্মাদিনীর ন্যায় অস্থিরতা সহকারে স্বীয় কাহিনী বর্ণনা করিতে লাগিলেন। পাঠক মহাশয়দিগের সুবিধার জন্য আমার তাহার মৰ্ম্ম সংক্ষেপে বিবৃত করিতেছি । মনোরম বাল্যকালেই পিতৃহীনা। জননী ভিন্ন তাহার আর কেহ ছিল না । দরিদ্র তনয়া মনোরমা ও র্তাহার জননী কথঞ্চিৎ রূপে জীবিকাপণং করি তেন । অতি অণপ আয়ে পল্লিগ্রামে জীবিকা নির্বাছিত হইতে পারে । কায়ক্লেশ মনোরমার মাতা} তাহা সংগ্ৰহ করিলেন । মনোরমার যখন আট বৎসর বয়স তখন র্তাহীর মাতা উtহণকে পাত্রস্থা করিলেন । মনোরমার জন্য চিন্তু হইতে তিনি অবসর পাইলেন মনে করিতেন । কিন্তু সকলই বিপরীত ছইল । এক বৎসরের মধ্যে মনোরমার স্বামী বিগতজীব হইলেন । মনোরমা বাল বিধবা । মোমের পুতুল মনোরমার সত্ব হইল না । লতিকা ভুমে লুটাইতে লাগিল। মনে মুখ নাই, কিন্তু স্বাভাবিক শোভা কোথা যাইবে ? যৌবনোদয়ে মনোরমার অতুল্য সেন্দির্য ভুবনমোহিনী হইয়া উঠিল । বলরামপুর প্রভৃতি গ্রামে বরদাকাণ্ড রায়ের জমিদারী ও নীলকুঠি ছিল। বিমলা । 8e ጫ সেই জন্ত ৰুদ্ৰকান্ত রায় একবার বলরামপুর আইসেন। ভ্রমণ উদ্দেশে তিনি অশ্ব পৃষ্ঠে হরিপাড়ার মধ্য দিয়া গমন করেন। মনোরমার ভূবনমোহিনী রূপ সেই কাও জ্ঞান বিরহিত যুবকের নেত্র পথে পতিত হয় । মনোরম সস্বন্ধে কন্দ্রকাস্তুের নিরতিশয় কদৰ্য্য লালসা উদিত হয় । হিতাহিত বোপ বিহীন ৰুদ্ৰকান্ত পবিত্র হৃদয়া বালিকার সর্বনাশ করিতে যথাসাধ্য চেষ্টা করিতে লাগিলেন। ধন, সম্পত্তি, বল, প্রভূতার দ্বারা কোন কাৰ্য্য না সম্পন্ন হইতে পারে ? সহায় সম্পত্তি বিহীনা, অনাথিনী, বালিকার কাকুতি মিনতি, রোদন সমস্তই হাসিয়া উড়াইয় দেওয়া হইল । বলপূর্বক তাহার সর্বনাশ সাদ্বিত হইল। চিরদিনের নিমিত্ত সরল পবিত্র হৃদয়ে গরল ঢালিয়া দেওয়া হইল, ঘোর বিষাদ সমুদ্রে তাহার নিঃসহায় জীবন ভরণীকে ভাসাইয়া দেওয়া হইল, তাহার সমস্ত সুখের মূলে বিষম কুঠারঘাত করা হইল, বালিকার নিমিত্ত চিরজীবন রোদন, অন্তর্দহ ও মৰ্ম্মবেদনা ব্যবস্থা করা হইল । হায়! ধন ও প্রভূত গৰ্ব্বে গৰ্ব্বিত অবিবেকী পশুবৎ মানবগণ সংসারে কি অত্যাচারই না করিতেছে ! মনোরমার চৈতুষ্ঠের উদয় হইল। উদ্বন্ধনে প্রোণত্যাগ করিবার আয়োজন করিলেন। এ কলঙ্কিত দেহ রাখি