পাতা:জ্ঞানাঙ্কুর ও প্রতিবিম্ব - চতুর্থ খণ্ড.pdf/৪২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8やア বেন না স্থির করিলেন। মৃত্যু স্থির করিয়া নিভৃত গৃহে মনোরমা কাদিতে কাদিতে গলদেশে ফাস দিলেন। লম্বিত হইবেন এমন সময় ঘরের ব্ৰুদ্ধ দ্বার ঘোর শব্দ সহকারে উন্মুক্ত হইল। এক জন লোক গৃহ মধ্যে প্রবেশ করিলেন, তিনি মনোরমণকে মরিতে দিলেন না । সেই একজন মনোরমার বাল সহচর, চিরপরিচিত পরম হিতৈষী নরেন্দ্র । নরেন্দ্র মনোরমণকে মরিতে দিলেন না । নরেন্দ্রের কথা রহিল—মনোরমা মরিতে পাইলেন না । নরেন্দ্র সদা সৰ্ব্বদা তাহার তত্ত্বাবধান করিতে লাগিলেন। নরেন্দ্রর সহিত চিরকালের ভালবাসা। নরেন্দ্রর এতাদৃশ যত্নে, এতাদৃশ শুভানুধ্যানে সেই ভাল বাসা আরও বৰ্দ্ধিত হইতে লাগিল। যৌবনের ভাল বাস। বেশ গাঢ় হইল। নরেন্দ্র দুঃখিত হইবেন ভাবিয়া মনোরম এককালে মরিবার বাসনা মন হইতে বিসর্জণ দিলেন । শেষে নরেন্দ্রর সন্তোষ সাধনই র্তাহার জীবনের প্রধান কার্য্য হইয়া উঠিল। উভয়ের হৃদয়ে প্রেম প্রবাহ ,সমভাবে প্রবাহিত হইতে লাগিল । উভয়ে প্রণয় তরঙ্গে ভাসিতে লাগিলেন । নরেন্দ্র প্রতিজ্ঞা করিলেন,— “জগতে মনোরমা ভিন্ন তার কাহাকেও স্ত্রীরূপে গ্রহণ করিবেন না।” মনোরমাও বলিলেন,—“সংসারে নরেভদ্রই তাহার সর্বস্ব।” সংসারে যাহাই বিমল । (জ্ঞানাঙ্কুর كةti3ومراج لا و جیپسیت- منع مستمد হউক নরেন্দ্র মনোরমা অভ্যন্তরে অভেদাত্মা । তাহদের হৃদয়ে সৰ্ব্বথ নির্দোষ, উচ্চ, উদার ও পবিত্র প্রণয় অধিষ্ঠিত । যোগেশ সমস্ত কথা শুনিয়া বলি লেন,— “মনোরমে । ভগ্নি ! তোমার কথা শুনিয়া আমি যৎপরেশনাস্তি ব্যথিত হইয়াছি । যেমন করিয়া হউক এ অপমানের প্রতিশোধ লইতে হুইবে । আমি প্রতিজ্ঞা করিতেছি যে আমি স্বহস্তে ৰুদ্রেকাস্তুের এ ঘোর দুস্কৃতির প্রতিফল দিব । আর ভগ্নি ! তুমি এ জন্য এতাদৃশ সঙ্কুচিত কেন ? ইহাতে তোমার অপরাধ কি ? অত্যাচারী, জ্ঞানহীন পশুবৎ জঘন্য জীবের দুষ্কৃতির জন্য তুমি কখনই দায়ী নহ । তোমার অপরাধ কি ? এ জন্য যে তোমার অপরাধ দেয় নিশ্চয় জগনিও সে মুখ । সমাজের নিয়মে যদিও ইহাতে তোমাকে দোষী করে, জগনিও সে নিয়ম নিরতিশয় ভ্রান্তি মূলক । এই কারণে আমি তোমাকে ভ্ৰমেও মৃণা বা অনাদর করিব না, ইহা তুমি নিশ্চয় জানিও । ভগ্নি ! কেন তুমি কষ্টে নিজ অন্তর সন্তাপিত কর ? ইহাতে তোমার দোষ কি ? আমি বলিড়েছি, ইহাতে তোমার কোন অপরাধ নাই।” মনোরমা অবনত মস্তকে বসিয়া !