পাতা:জ্ঞানাঙ্কুর ও প্রতিবিম্ব - চতুর্থ খণ্ড.pdf/৪৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

չ3Տ Հ মীর্জ মহম্মদ এবং মোরাদ উদৃদৌলা । জীন উদ্দীনের জ্যেষ্ঠ সায়দ আহম্মদেরও এক পুত্র ছিল। পুত্রহীন আলিবর্দি জীন-উদ-দীনের জ্যেষ্ঠ পুত্রকে দত্তকরূপে গ্রহণ করেন ও নিজ পুত্র নিৰ্ব্বিশেষে পালন করেন । জীনউদৃ-দীনের অপর তনয়কে নেওয়াগিশ মহম্মদ গ্রহণ করেন । আলিবর্দি জীন উদ্দীন তনয় মীজা মহম্মদকে প্রাণাধিক . প্রিয়তর জ্ঞান করিতেন । তিনিই স্বেছ সহকারে বালকক সিরাজ-উদ-দৌলা ( চিরাগ- উৎ-দৌলা অর্থাৎ সম্পত্তির আলোক ) এই নাম প্রদান করেন । আলিবর্দির স্নেহের সীমা ছিল না । সিরাজের সন্তোষ সাধনাৰ্থ তিনি সকলই কৰ্ত্তব্য ও সহজ মনে করিতেন । সিরাজ যখন নিতান্তু বালক নবাব আলিবর্দি তখন র্তাহার সন্তোষ সাধনাথ তাহাকে আজিমণবাদের শাসন কর্তৃপদে নিযুক্ত করেন। * ফলতঃ সিরাজ উদ্দৌলা সম্বন্ধে বুদ্ধ আলিবর্দির হিতাহিত জ্ঞান অন্তৰ্হিত ছইয়া গিয়াছিল । সিরাজ র্তাহার জীবনের আনন্দ বৰ্ত্তিকা, প্রীতির প্রঅবণ, সন্তোষের নিলয়, সুখের সোপান স্বরূপ হইয়া উঠিয়ছিলেন । বিবেক বিহীন বালককে এতদ্রুপে সমাদর করিলে, ও তাহার কৃত কাৰ্য্য সম e Seir Mutaqherin or Review of modern Times vol. 1 P-585. সিরাজউদৌল । (জ্ঞানীকুর শ্রাঃ, ১২৮৩ স্তের দোষ না দেখিলে, তাহার স্বভাব যে নিরতিশয় কলুষিত হইয়া উঠিবে তাহার সন্দেছ! কি ? ভাল হউক, মন্দ হউক, বাক্য বদন হইতে বিনিগত হইবা মাত্র, ইচ্ছা স্ফৰ্ত্তি মাত্র, তৎক্ষণাৎ তাছা সম্পন্ন হইতেছে। যে বালকের বাল্য জীবন এইরূপে পর্য্যবসিত হয়, তাছার নিকট আমরা কিরূপে সততা ও সাধুতা প্রার্থনা করিতে পারি? যে দেখিতেছে যে তাছার ইচ্ছাই জগভের সকল নিয়ম অপেক্ষা বলবান, যে দেখিতেছে, স্বয়ং বাঙ্গালা, বিহার ও উড়িষ্যার মুবাদার আলিবর্দি খা বাহাদুর তাহার ইচ্ছার দাস, যে দেখিতেছে, অপরের পক্ষে যাহা নিরতিশয় নীতি বিগছিত অসাধুকাৰ্য্য তাহার পক্ষে তাছা সাধু ও শ্রেয়ঃ, যে দেখিতেছে, অপরে যে কাৰ্য্য করিলে কলঙ্কিত হয় সে তৎসম্পাদনে মুখ্যাভিভাজন হয়, সেরূপ বালকের চরিত্র পরিণামে কিরূপ হইবে তাছা সহজেই অনুমান করা যায়।* সিরাজ যে কার্য্যে আস্থা বা অনুরাগ প্রকাশ করেন নাই, তাহাকে সে কাৰ্য্য সম্পা দন জন্য কেহ অনুরোধ করে নাই। লেখা পড়া সম্বন্ধে সিরাজ

  • He was unreasonable, because nobody ever dared to reason with him, and selfish, because he had nover been made to feel himself dependant on the good will of

others. Macaulay.