পাতা:জ্ঞানাঙ্কুর ও প্রতিবিম্ব - চতুর্থ খণ্ড.pdf/৪৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

3)○ সিরাজ উদ্দৌলা অতঃপর আর একটা এরূপ অবিবেচনার কার্য্য করিলেন যে, তাছার কার্য্যে আর কাছারও সহানুভূতি থাকিবার সম্ভাবনা রহিল না । প্রাচীন, বিশ্বাসী ও অনুরাগী কয়েকজন প্রধান রাজকৰ্ম্মচারীর প রিবর্তন করিয়া তত্তংস্থানে কয়েকজন নুতন ব্যক্তি বিনিয়োগ করিলেন। মীর জাফর র্থ মামক একজন প্রধান পদস্থ ব্যক্তির পরিবর্তে মীর মদন নামে এক জন বিনিযুক্ত হুইলেন । মোছন লাল * নামক এক ব্যক্তিকে মহারাজা উপাধি ও পঞ্চ সহস্ৰ সৈন্যের অধ্যক্ষতা দিয়া প্রধান মন্ত্রীত্ব পদে নিযুক্ত করা হইল । tions of the British nation in Indostan Vol. II Page 49-50, Mill's History of British India Vol. III Page 114.

  • “ মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র রায়স্য চরিত্রং” লেখক স্ত্রীযুক্ত রাজীব লোচন মুখোপাধ্যায় নবাবের প্রধান পাত্রের নাম মহারাজা মহেন্দ্র বলিয়। বীরস্বার উল্লেখ করিয়াছেন। মোহন লাল ও মহেঞ্জকে এক ব্যক্তি বিবেচনা করা সঙ্গত

ছয় না । কারণ মোহন লাল নবাবের নিত্যস্ত অমুগত ছিলেন । মহেশু নৰাবের বিরোধী বলিয়। উল্লিখিত হইয়াছেন। মোহন লাল সম্বন্ধে একটা ঘণজনক কথা লিখিত হইয়াছে মোছনলাল স্বীয় পরম সুন্দরী ভগ্নীকে সিরা fসরাজউদৌল (জ্ঞানাকুর গ্রাঃ, ১২৭৩ } একে নবাবের প্রতি জনসমুহের বিশেষ শ্রদ্ধা ছিল না, তাছাতে আবার মোহন লালের কদর্য্য ব্যবহারে লোক যৎপরোনাস্তি বিরক্ত হইয়া উঠিল । নবাব স্বয়ং মোছন লাল সম্বন্ধে অন্ধ হইয়াছিলেন। তিনি মোহন লালের কার্য্যে ও চরিত্রে গুণ ভিন্ন দোষের সংম্পর্শও দেখিতে পাইতেন না । এই নূতন কৰ্ম্মচারীরা নবাবের সন্তোষ ও তৃপ্তি সাধনোপযোগী কাৰ্য্য করিতেন ও তদনুযায়ী উপদেশ দিতেন । এ বম্বিশ্ব অনুরাগ নিবন্ধন সিরাজের বিশেষ অনিষ্ট হইল । নগরের প্রধানপ্রধান ব্যক্তি ও সৈন্যের ক্ষমতাশালী কৰ্ম্মচারীগণ অন্তরে অস্তরে ক্ষুন্ন ইয়া রছিল । * সিংহাসন প্রাপ্তির অনতিকলৈ পরে সিরাজ উদ্দৌলার মনে, স্বীয় পিতৃব্য সায়দ আহম্মদের পুত্র সকত জঙ্গের হস্ত হইতে পূর্ণিয় রাজ্য গ্রহণ করিবার বাসনা নিরতিশয় বলবতী হয় । তদভিপ্রায় সাধনোদেশে নবাব পূর্ণিয়া অভিমুখে যাত্রা করিলেন । পূৰ্ব্বোক্ত নওয়াগিশ মহম্মদের প্রধান কর্মচারী রাজবল্লতের পুত্র কৃষ্ণ জ উদ্দৌলার সম্ভোষার্থ প্রদাম করিয়াছিলেন ।

  • Seir Mutagherin or Review of Modern Times Vol. I, Page 717-718.