পাতা:জ্ঞানাঙ্কুর ও প্রতিবিম্ব - চতুর্থ খণ্ড.pdf/৪৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

838 “কমলাতোমারে আহা ভালবাসে বোলে. তোমারে করেছে দূর নিষ্ঠুর বিজয় । প্রেমেরে ডবাব আজি বিস্মৃতির জলে বিস্মৃতির জলে আজি ডবাব হৃদয়! তবুও বিজয় তুই পাবি কি এ মন ? নিষ্ঠুর আমারে আর পাবি কি কখন ? পদ তলে পড়ি মোর, দেহ কর ক্ষয়— তবু কি পারিবি চিত্ত করিবারে জয় ? তুমি ও চলিলে যদি হইয়া উদাস— কেন গোবিছিব তবে এ झूनि रुज्रभो ? আমিওগো অভরণ ভূষণ ফেলিয়া যোগিনী তোমার সাথে যাইব চলিয়া যোগিনী হুইয়া আমি জন্মেছি যখন ষোগিনী হইয়া প্ৰtণ করিব বহন । কাজ কি এ মণি মুক্ত রজত কাঞ্চন— পরির বাকল বাস ফুলের ভূষণ , নীরদ ! তোমার পদে লইনু শরণ— লয়ে যাও যেথা তুমি করিবে গমন ! নতুবা যমুনা জলে-এখনই অবহেলে— ত্যজিব বিষাদ দগ্ধ নগরীর জীবন !” পড়িল ভূতলে কেন নীরদ সহসা ? শোনিতে মৃত্তিকা তল হইল রঞ্জিত ! কমলা চমকি দেখে সাভয়ে বিবশ দাৰুণ ছুরিকা পৃষ্ঠে হয়েছে নিহিত ! কমলা সভয়ে শোকে করিল চীৎকার । রক্ত মাখা হাতে ওই চলিছে বিজয় ! নয়নে আঁচল চাপি কমলা আবার— সভয়ে মুদিয়া আঁখি স্থির হয়ে রয়। আবার মেলিয়া আঁখি মুদিল নয়নে য়া চলিল বালা যমুনার জলে বমফুলকাব্য । (জ্ঞানীকুর শ্রাঃ, ১২৮৩ আবার আইল ফিরি যুবার সদনে— যমুনা শীতল জলে ভিজায়ে আঁচলে । যুবকের ক্ষত স্থানে বধিয়া আঁচল কমলা একেলা বসি রহিল তথায় এক বিন্দু পড়িল না নয়নের জল এক বারো বহিল ন! দীর্ঘ শ্বাস বায় । তুলি নি'ল যুবকের মাথা কোল পরে— এক দৃষ্টে মুখপানে রহিল চাছিয়া নির্জীব প্রতিমা প্রায় না নড়ে না চড়ে কেবল নিশ্বাস মাত্র যেতেছে বহিয়া । চেতন পাইয়া যুবা কহে কমলায় “ধে ছুরীতে ছিড়িয়াছে জীবন বন্ধন অধিক সুতীক্ষ ছুরী ভাহা অপেক্ষায় আগে হোতে প্রেমরজজু করেছে ছেদন। বন্ধুর ছুরিকা মাথা দ্বেষ হলাহলে, করেছে হৃদয়ে দেহে আঘাত ভীষণ নিভেছে দেহের জ্বালা হৃদয় অনলে ইহার অধিক আর না’ইক মরণ ! বকুলের তলা হোক রক্তে রক্ত ময় ! মৃত্তিক রঞ্জিত হোকু লোহিত বরণে ! বসিবে যখন কাল হেথায় বিজয়— আচ্ছন্ন বন্ধুতা পুনঃ উদিবে না মনে ? মৃত্তিকার রক্তরাগ হোয়ে যাবে ক্ষয়— বিজয়ের হৃদয়ের শোণিতের দাগ আর কি কখনো তার হবে অপচয় অনুতাপ অঞ জলে মুছিবে সে রাগ ? বন্ধুতার ক্ষীণ জ্যোতি,প্রেমের কিরণে— { রবিকরে হীন ভাতি নক্ষত্র যেমন ) বিলুপ্ত হয়েছে কিরে বিজয়ের মনে ? উদিত হইবে না কি আবার কখন ? .