পাতা:জ্ঞানাঙ্কুর ও প্রতিবিম্ব - চতুর্থ খণ্ড.pdf/৪৪৪

জ্ঞানাকুর শ্রাঃ, ১২৮৩) এক দিন অশ্রুজল ফেলিবে বিজয় ! এক দিন অভিশাপ দিবে ছুরিকারে এক দিন মুছিবারে, হইতে হৃদয় চাহিবে সে রক্তধারা অশ্রুবারি ধারে । কমলে ; খুলিয়া ফেল আঁচল তোমার! | রক্ত ধারা যেথা ইচ্ছা হক প্রবাহিত, বিজয় স্থধেছে আজি বন্ধুতার ধার— প্রেমেরে করায়ে পান বন্ধুর শোণিত ! চলিনু কমলা আজ ছাড়িয়া ধরায় পৃথিবীর সাথে সব ছিড়িয়া বন্ধন জলাঞ্জলি দিয়া পৃথিবীর মিত্রতায় প্রেমের দাসত্ব রজন্তু করিয়া ছেদন !” অবসন্ন হোয়ে প’ল যুবক তখনি কমলার কোল ছোতে পড়িল ধরায় ! উঠিয়া বিপিন বালা সবেগে আমনি উৰ্দ্ধ হস্তে কহে উচ্চ সুদৃঢ় ভাষায়! “জ্বলন্ত জগৎ ! ওগো চন্দ্র স্থৰ্য্য তারা ! দেখিতেছ চিরকাল পৃথিবীর নরে! পৃথিবীর পাপ পুণ্য, হিংসা, রক্ত ধারা তোমরাই লিখে রাখে। জ্বলদ অক্ষরে ! সাক্ষী হও তোমরা গো করিও বিচার – তোমরা ও গো সাক্ষী পৃথ্বী চরাচর । ব'ছে যাও !—বছে যাও যমুনার ধার, নিষ্ঠুর কাহিনী কহি সবার গোচর । এখনই অস্তাচলে যেওনা তপন ! ফিরে এসো-ফিরে এসে তুমি দিনকর এই—এই রক্ত ধারা করিয়া শোষণ— লয়ে যাও—লয়ে যাও স্বগের গোচর ! ধুসনে যমুনা জল ! শোণিতের ধারে ! বকুল তোমার ছায়া লও গো সরিয়ে ! বনফুল কাব্য । 8: (r গোপন করে না উহ। নিশীথ ! সঁধারে জগৎ ! দেখিয়ালও নয়ন ভরিয়ে ! অবাক হউক পৃথ্বী সভায়, বিস্মরে । অবাক হুইয়া যাক আঁধার নরক । পিশাচের লোমাঞ্চিত হউক সভয়ে ! প্ররতি মুদ্রক ভয়ে নয়ন-পলক ! রক্তে লিপ্ত হয়ে যাকু বিজয়ের মন "বস্তুতি! তোমার ছয়ে রেখে ন বিজয়ে শুকালে ও হৃদি রক্ত এ রক্ত যেমন চিরকাল লিপ্ত থাকে পাষাণ হৃদয়ে ! বিষাদ । বিলাসে তার মাথি হলাহল – ধরি ও সমুখে তার নরকের বিন ! শান্তির কুটীরে তার জ্বালায়ো অনল । বিষ বৃক্ষ বীজ তার হৃদয়ে রোপিস । দূর হ--দূর হ তোরা ভূষণ রতন ! আজিকে কমলা যেরে হেয়েছে বিধবা আবার কবরি ! তোরে করিনু মোচন ! আজিকে কমলা যেরে হেয়েছে বিধব ! কি বলিসুখ্যমুনা লো! কমলা বিধবা' ! জাহ্নবীরে বল গিয়ে ‘কমলা বিধবা' ! পাখী ! কি করিস গান ‘কমলা বিধবা দেশে দেশে বল গিয়ে ‘কমলা বিধবা' ! আয় । শুক ফিরে যা লো বিজন শিখরে ! মৃগদের বল গিয়া উচু করি গলা— - কুটারকে বল গিয়ে, তটিনী, নিঝ রে— ‘বিধবা হয়েছে সেই বালিকা কমলা’ ! উহুহু! উহুহু—আর সহিব কেমনে ? হৃদয়ে জ্বলিছে ੋਲੂ অগ্নিরাশি মিলি বেশ ছিনু বনবালা, বেশ ছিনু বনে – নীরজাবলিয়াগেছে"জ্বালালি! জ্বলিলি! (.8