8Rb" প্রদেশের দন্তপুর * নগরাস্কিপ ব্ৰহ্মদত্তকে প্রদান করিয়াছিলেন । ব্রহ্মদত্ত ও তাহার পুত্র ও পৌত্র করা এবং সুনন্দের রাজ্যশাসন হইতে দন্তপুরে অপর রাজগণের শাসন পর্য্যন্ত প্রায় ৮০০ শত বৎসর এই দত্ত সাদরে রক্ষিত হইয়াছিল। দন্তপুরাধিপ গুহসিংহ বুদ্ধ দন্তের বিবরণ কিছুই জ্ঞাত ছিলেন না । একদা তিনি নগর মধ্যে মহাসমারোহু দৃষ্টে-প্রজাগণকে জিজ্ঞাসা করিলেন, অদ্য কি নিমিত্ত এই উৎ সব হইতেছে ? তাহাতে এক জন বৌদ্ধ স্থবির ক্ষেমাচার্য্যের আনীত বুদ্ধদন্তের বিবরণ র্ত্যহকে জ্ঞাত করিলেন । বৌদ্ধ পুরোহিত দ্বারা তিনি বুদ্ধ চরিত্রের প্রকৃত মহিম অবগত হুইয়া তাহার বৌদ্ধ ধৰ্ম্মে বিশ্বাস জন্মিল এবং তিনি স্বরাজ্য হইতে বৌদ্ধধৰ্ম্মের বিপক্ষবাদীগণকে বহিস্কৃত করিয়াদিলেন । হিন্দুধৰ্ম্মাবলম্বীগণ এই রূপে দন্তপুর হইতে বহিষ্কৃত হইয়া পাটলিপুত্ৰাধিপ পাণ্ড রাজের আশ্রয় গ্রহণ করিল । পাণ্ড হিন্দুধৰ্ম্মাব লম্বী, তিনি স্বধৰ্ম্মাবলম্বীগণের অপমানের কথা শ্রবণ করিয়া ক্রোধে অধীর ছইয়া উঠিলেন এবং তাহার অধীনস্থ নৃপতি চৈতন্যকে গুহ সিং
- প্রাচীতত্ববিৎ কনিংছেম সাহেব অনুমান করেন, ইহার আধুনিক নাম রাজমহেন্দ্রী ।
বুদ্ধদেবেরদন্ত । (জ্ঞানাঙ্কুর শ্রাঃ, ১২৮৩ } হের বিপক্ষে যুদ্ধযাত্রা করিয়া তাহাকে পাটলিপুত্রে বন্দী করিয়া আনিবার নিমিত্ত আজ্ঞা প্রদান করিলেন । চৈতন্য অসংখ্য সৈন্য সমভিব্যবহারে দন্তপুরে প্রবেশ করিলে গুহ সিংহ র্তাহাকে বন্ধুর ন্যায় আলিঙ্গন করিয়া রাজবাটীতে লইয়া গেলেন । তথায় উভয়ের কথোপকথনানন্তর বিলক্ষণ সম্প্রীতি জন্মিল । গুহ সিংহ চৈতন্যকে বুদ্ধদন্ত দেখাইলে, তিনি তাহার অলৌকিক ক্ষমতা প্রভাবে বৌদ্ধ ধৰ্ম্ম এহণ করত দন্তের অসীম মহিমা কীর্তন করিলেন । তাছার সৈন্য ও সেনাপতিগণ বিপক্ষ ভাব বিস্মৃত হইয়া সকলেই বৌদ্ধ ধৰ্ম্ম গ্রহণ করিল । গুছ সিংহ, চৈতন্যের সমভিব্যাহ্বারে বৈরীভাব পরিত্যাগ করত মাণিক্য ময় পাত্রে বুদ্ধ দস্তু লইয়া, জম্বুদ্বীপাধিপতি পাণ্ড নৃপতির সহিত সাক্ষাৎ করি বার জন্য পাটলিপুত্রে উপস্থিত হইলেন। পাও চৈতন্য ও তাহার সৈন্যগণের বৌদ্ধ ধৰ্ম্ম গ্রহণের কথা শুনিয়া ক্ৰোধে অগ্নি শৰ্ম্ম হইয়া উঠিলেন এবং যে দন্ত প্রভাবে তাছার স্বধৰ্ম্ম ত্যাগ করিয়াছেন, সেই দন্ত খণ্ড প্রজ্জ্বলিত হুতাশন মধ্যে নিক্ষেপ করিতে আদেশ করিলেন । কিন্তু ধৰ্ম্মের অলৌকিক প্রভাবে দন্ত ভষ্ম না হইয়া, রথ চক্রের ন্যায় বৃহৎ পদ্ম মধ্যে মণি মাণিক্য আধারে দন্তু কুন্দ পুষ্পের
