পাতা:জ্ঞানাঙ্কুর ও প্রতিবিম্ব - চতুর্থ খণ্ড.pdf/৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8s সৌদামিনীর মাতুলের বাটীর নিকট এক বাটীতে ললিতের ভগিনীপতি দুশ্চিকিৎস্য চক্ষুরোগাক্রান্ত হইয়া কালেজের ডাক্তার দ্বারা চিকিৎসা করিবণর মানসে আসিয়া বাসা করিয়াছিলেন। ললিত হিন্দুকলেজে পড়িতেন এবং সৰ্ব্বদাই আসিয়া ভগ্নী ও ভগ্নিপতিকে দেখিয়া যাইতেন। সাবিত্রী, র্তাহাকে দেখিতে পাইয়া তাহাকেই জামাতা করিবেন মনে মনে স্থির করিলেন। সাবিত্রী ললিতের কথা নিজ ভ্রাতার নিকট বলিলেন । র্তাহার ভ্রাতার নাম দিগম্বর । দিগম্বর অনন্তর ললিতের কুলশীলের পরিচয় গ্রহণ করিলেন। পরিচয়ে জানিতে পারিলেন ললিত বংশজ। দিগম্বরের হরিষে বিষাদ উপস্থিত হইল। পাত্ৰটী দেখিতে শুনিতে ও বিদ্যা বুদ্ধি সৰ্ব্বাংশেই উৎকৃষ্ট । কিন্তু বংশজকে কি প্রকারে নৈকোষ্য কুলীনের কন্যা দান করেন ? সাবিত্রী ললিতকে প্রথমতঃ যে প্রকারে দেখেন,সৌদামিনীও সেইরূপে এক দিবস ললিতকে দেখিতে পাইলেন, অর্থাৎ তাহাদিগের বাটীর জানালায় বসিয়া আছেন, এমন সময় ললিত র্তাহার ভগ্নিপতিকে দেখিতে আইলেন, ললিতকে দেখিবাবাত্রেই সৌদামিনীর মন প্রাণ ললিতের প্রতি আকৃষ্ট হইল । প্রণয় চিরকালই এরূপে আ ললিত-সৌদামিনী । (उstनांकूझ श्र:, s२४२ রম্ভ হয় । ভাবিয়া চিন্তিয়া,—স্বভাব বিদ্যা বুদ্ধি পরীক্ষা করিয়া কাহার কোন কালে প্রণয় হইয়া থাকে ? বাৰুদ অগ্নিস্পর্শ মাত্রেই ষেরূপ প্রজ্বলিত হয়, কাষ্ঠাদির ন্যায় রছিয়া রছিয়া জ্বলে না, সেই রূপ প্রণয় দশন মাত্রেই হয়, অণেপ অণেপ কখনও প্রণয়ের উৎপত্তি হয় না । রোগী বিশ্রাম লাভার্থে য তই শয্যায় এপাশ ও পাশ ফিরিতে থাকে ততই তাহার নিদ্রা দূর হয়, সেইরূপ যে ভাল বাসিয়াছে সে যতই নিজ মনের ভাব গোপন করিতে চায় ততই তাহা প্রকাশ হুইয়া পড়ে। অগপদিনের মধ্যেই সাবিত্রী সৌদামিনীর মনের ভাব অবগত হইভে পারিলেন । কিন্তু ললিত বংশজকুলোভব, সোঁদমিনীর সহিত র্তাছার পরিণয় অসম্ভব, জানিতে পারিয়া সাবিত্রী নিজ তনয়াকে নানা প্রকার উপদেশ দিয়া ললিতের চিন্তা দূর করিতে কৰিলেন। সৌদামিনীকে আর জানালায় বপিতে দেন, না । তাছাকে নিষ্কৰ্ম্ম দেখিলে অমনি কোন না কোন কার্ধ্যে নিয়োজিত করেন । কিন্তু প্লাবনের জল কার সাধ্য ছঠাৎ মুখায়, সোঁদণমিনী একাকিনী হইলেই বসিয়া বসিয়া অনবরত ললিতের চিত্তায় নিমগ্ন থাকিতেম, এবং কেছ কোথায় না থাকিলে অমনি গিয়া জানালায় বসিতেন ।