পাতা:জ্ঞানাঙ্কুর ও প্রতিবিম্ব - চতুর্থ খণ্ড.pdf/৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

४२ হওয়াও উচিত নয়।” সাবিত্রী উত্তর করিলেন “তোমরা যদি সত্বর সৌদামিনীর বিবাহ না দাও, তবে আমি ললিতের সহিত তাহার বিবাহ দিব । আমি কাহারে কথা শুনিব না।” দিগম্বর উত্তর করিলেন “দিদি ! আর দশ দিন কাল বিলম্ব কর। যদি এভ দিন গিয়াছে তবে অ’র দশ দিনেকি হবে ? আমি একখানা পত্র লিখি, দেখি কি জবাব পাই ।” সাবিত্ৰী কহিলেন “তবে পত্র লেখ । কিন্তু আমি এগার দিনের দিন বিবাহ দেব তার আর ভুল নাই । আমি আর কণহণকে জনাব ও না, দিন ক্ষণ ও দেখিব না ।” দিগম্বর উত্তর করিলেন “আচ্ছা, দশ দিনই যাউক ভূগর পর তোমার যা খুসি ভাই করে । আমি আজিই পত্র লিখিব । দশ দিনের মধ্যে অবশ্যই পত্রের উত্তর পাইব ।” ললিতকে দেখিয়া সৌদামিনীর যেরূপ মন হইয়াছিল, সৌদামিনী দর্শনে ও ললিভের সেইরূপ হইয়া ছিল । দুই এক দিবস ভাবিলেন সৌদামিনী লালসা আমার পক্ষে বামনের প্রাংশুলভ্য ফল লালসার ন্যায়। কিন্তু যখন সাবিত্রী নিজেই সেই কথার উত্থাপন করিলেন, তখন আর ললিতের পক্ষে সে আশা দুরাশা বলিয়া বোধ হইল না । যে আগুণ ললিত ললিত-সৌদামিনী । (জ্ঞানাকুর অঃ, ১২৮২ ইচ্ছা পূৰ্ব্বক অনায়াসেই নির্বাপিত করিতে পারিতেন, সাবিত্ৰী বায়ু স্বরূপ হুইয়া সেই অগ্নিকে দিন দিন প্রবল . করিয়া তুলিলেন। ললিত পূর্বে পূৰ্ব্বে দুই তিন দিনে একবার আসিভেন, কিন্তু এক্ষণে প্রত্যহুই আসিতে আরম্ভ করিলেন । ললিতের ভী নিষেধ করিবেন ভাবিলেন,কিন্তু লজ্জায় ভ্রাতার নিকট ও বিষয়ে কথা কহিতে পরিলেন না । ললিতের ভগিনী পতি সমস্ত দিবস একাকী থাকিতেন । চক্ষু রোগ নিবন্ধন পড়া শুনা করিয়া কলক্ষেপ করিতে পারিতেন না । তাহার নিকটে কেহ বসিয়া কথোপ কথন করলে তিনি যার পর নাই শান্তি প্রাপ্ত হন । সুতরাং তিনি, যা হাতে ললিত পূৰ্ব্বাপেক্ষাও ঘন ঘন আইসে, তাহার চেষ্টা করিতে লাগি লেন । সঙ্ক্ষেপত ললিতকে কেহ কোন উপদেশ দিল না, কেছ উপহাকে স্বরূপ দেখিতে সাহায্য করিল না । ললিতের পড়া শুনা বন্ধ হইয়া গেল। বাসায় থাকিলে কতক্ষণে ভগ্নিপতিকে দেখিতে আসিবেন ভাবেন । ভগ্নিপতিকে দেখিতে আসিলে আবার পুনরায় বাসায় প্রত্যাগমন করিতে হুইবেক এই ভাবনায় সন্তাপিত হন । সাবিত্ৰী ক্রমাগত ললিতের উৎসাহই বৰ্দ্ধন করিয়া আসিতেছেন,এক দিনের জন্যও এমন কথা বলেন নাই যে,বিবাহ