পাতা:জ্ঞানাঙ্কুর ও প্রতিবিম্ব - চতুর্থ খণ্ড.pdf/৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

83 ক্ষা করিয়া থাকিত । তিনি অসিলেই তাহাদিগের মুখে দিবসের খবর পাইতেন, কিন্তু অদ্য কেহই তাহার নিকট আসিয়া সম্বাদ জানাইল না। ললিত অত্যন্ত চঞ্চল-চিত্ত হইলেন । র্তাহার ভগিনীপতি কথা কছেন কিন্তু তাছা ললিতের কর্ণ-কুহরে প্রবিষ্ট হয় না। হয় তো ললিতের ভগিনীপতি এক্ষ, কথা কহিয়া উত্তর প্রতীক্ষা করিতেছেন -ললিত কিছুই জানিতেছেন না ; অথবা উত্তর দিতেছেন কিন্তু “ ইঁ৷ ” স্থানে “ না ’ বা “ ম৷ ” স্থানে “ ই৷ ” বলিতেছেন। ললিতের ভগিমীপতি ললিতের চিত্ত-চাঞ্চল্য অব লোকন করিয়। চমৎকৃত হইলেন, তিনি তাহার কারণ সম্যক অবগত ছিলেন । কিন্তু কি প্রকারে তিনি ললিতকে কুসস্বাদ দিবেন তাঁহাই ভাবিতে লাগিলেন ; এবং যে বিষয়ে কথোপকথন ছইতেছিল তাহা ত্যাগ করিয়া চুপ করিয়া বসিয়া রছিলেন। ললিতও চুপ করিয়া থাকিলেন। সন্ধ্যা হুইল, প্রদীপ জ্বলা হইল, যে ঘরে ললিত ও তদীয় ভগিনীপতি বসিয়া ছিলেন নেই ঘরে দাসী প্রদীপ দিয়া গেল। হঠন অলোক অবলোকন করিয়া ললিত স্বরের চতুর্দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করিলেন । আর কি উপ করিতে না পারিয়া ভগিনপতিকে عیسی صنایع اص عجیب تعمیبیسی ললিত-সৌদামিনী । (জ্ঞানাঙ্কুর অঃ, ১২৮২ কহিলেন “ তবে অগজ আমি যাই ।” ললিতের ভগিনীপতি উত্তর করিলেন “হ আর আজ থাকিয়া কি করিবে ।” ললিত এই কথা শুনিয়া গাত্রেণখান করিলেন। তখন ললিতের ভগ্নিপত্তির যেন হঠাৎ মনে হুইল, ললিতকে কোন কথা কহিতে হুইবেক ; এজন্য তিনি ললিতকে কছিলেন “ভাল কথা, ললিত তোমার একটা সম্বাদ আছে শুনে যাও ।” ভগিনী পতির কথা শুনিয়। ললি তের হৃৎপিও এরূপ জোরে বক্ষঃস্থলে প্রতিঘাত হইতে লাগিল যে ললিতের বোধ হইল তাহীর ভগিনীপতি সে আঘাতের শবদ শুনিতে পাইলেন । ললিত যেখানে দাড়াইয়াছিলেন সেই খানেই বসিয়া জিজ্ঞাসিলেন “কি সস্বাদ ?” ললিভের ভগ্নিপতি কছিলেন “সৌদামিনীর সহিত তোমার যে বিবাহ হুইবার কথা হইয়াছিল তাহার প্রতিবন্ধক পড়িয়াছে। সে বিবাহ হই{বক না ייו ললিত অণুগ্রহ সহকারে জিজ্ঞাসি লেন ‘কে কছিল ?” ললিভের ভগ্নিপতি উত্তর করিলেন “সৌদামিনীর মাতা দাসী দ্বারায় সস্বাদ পাঠাইয়াছেন । দাসী কহিয়া গেল “মা লজ্জায় নিজে আসিত্তে