পাতা:জ্ঞানাঙ্কুর ও প্রতিবিম্ব - চতুর্থ খণ্ড.pdf/৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্ঞানাঙ্কুর অঃ, ১২৮২) পরিলেন না ; আমাকে দিয়ে বলে পঠালেন ।” ললিত ক্ষণ-কাল মেনিভাবে থাকিয়। পরে জিজ্ঞাসা করিলেন “কো থায় বিবাহ হবে ?” ললিভের ভগ্নিপতি উত্তর করিলেন “দাসী কহিল সৌদামিনীর পিত। উপযুক্ত পাত্ৰ লইয়া সত্বব কলকাতায় পৌঁছিয়া নিজ কন্যার বিবাহ দিবেন। তিনি ত্বরায় পৌঁছিবেন ।” ললিতের আর উঠিয়া যাইবার শক্তি রহিল না, কিন্তু তথাপি কছিলেন, “তা আমি জানি । আমি কখন প্রত্যশসা করি নাগই যে আমার সহিত সৌদামিনীর বিবাহ হইবেক । কুলীনের কন্যা অণমণকে দিবে কেন ? তবে র্তারাও বলিতেন, আমিও সায় দিতাম।” ললিতের ভগ্নিপতি ললিভের কথায় কোন উত্তর না দিয়া চুপ করিয়া রছিলেন । ললিতও কিয়ৎক্ষণ মেশন ভাবে থাক্সিয়া তথা হইতে উঠিয়া নিজবাসে প্রত্যাগমন করিলেন । সে রাত্রি ললিত কি রূপে অতিবান্তি করিলেন সহজেই অনুভূত হইতে পারে ৷ পর দিবস প্রাতে গাত্রেণখান করিয়া ললিত পড়া শুনায় মনে৷ নিবেশ করিবেন স্থির করিলেন । পুস্তকাদি খুলিয়া দেখিলেন সমুদায় আবার প্রথম পত্র ছইতে আরম্ভ করিতে ললিত-সৌদামিনী । 86. হইবেক । এদিকে গণন । করিয়| দেখিলেন পরীক্ষণর অণর অধিক দেরি নাই। সাত পাচ ভাবিয়া স্থির করলেন এ বৎসর পরীক্ষণ দিবেন না । তবে কলিকাতায় থাকিবারই বা অমাবশ্যকতা কি ? এইরূপ চিন্তা করিয়া ললিত সৈই দিবসই পুস্তকাদি লইয়া বাট গমন ক্তkলেন । ট্রেন যখন চলিতে আরম্ভ হুইল তখন ললিত কত দীর্ঘ নিশ্বাস ত্যাগ কfরলেন তাহা বলা দুঃসাধ্য। যত ক্ষণ পর্য্যন্ত কলিকাতা অদৃশ্য না হইল তত ক্ষণ পশ্চাৎ ভাগ দৃষ্টি করিতে লাগিলেন । দেখি তে দেখিতে কলিকতা অদৃশ্য হইল। ললিত নিজ বস্ত্ৰে মুখাবরণ পূর্বক অশ্রুপাত করিতে লাগিলেন । চতুর্থ পরিচ্ছেদ । আশ্রয় বৃক্ষ ভগ্ন হইলে আশ্রিত লতার যে রূপ দুরবস্থা হয়, ললিত বিরিছে সৌদামিনীর চিত্ত সেইরূপ হইল । ললিতের সহিত তিনি কখন কথা কন নাই, একত্র উঠা বসা করেন নাই, তথাপি ললিত চলিয়া গেলে উাছার হৃদয়শূন্য, গৃহশুন্য, সমুদায় সংসার শূন্য বোধ হইতে লাগিল। সাবিত্রী এক দিনের জন্যও সৌদামিনীকে ললিতের সহিত বিবাহু হুইবে বলিয়া