পাতা:জ্ঞানাঙ্কুর ও প্রতিবিম্ব - চতুর্থ খণ্ড.pdf/৫০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8br" প্রক্ষিপ্ত হইবে, ইহা কোন ক্রমেই বিশ্বাস করা যাইতে পারে না । এই জন্যই আমরা রসসাগর মহাশয়কে ইহার রচয়িতা বলি স্বীকার করিতে পারিলাম না। পাঠকগণ ন্যায় অন্যায় বিচার করিবেন । একদা প্রশ্ন হইল “আর সয় না।” সে সময় রসসাগর নিজের অবস্থার প্রতি লক্ষ্য করিয়া শ্লোকটী রচনা 季 করিলেন,— t চাতক পাতকী বড় করেছে প্রতিজ্ঞ দড়, শরৎ পর্য্যণ্য ভিন্ন অন্য জল খায় ন} । শরৎ অবধি অণশ, অতি কষ্টে অষ্ট মাস, অণশ্বাসে রয়েছে শ্বাস,অন্স পণনে চায়ন। বিস্তারিয়ে ওষ্ঠাধর, নাহি তাহে ধারণধর ধরণী তার মূলাধারসেও তা ঘো গায়ুমণ । তাহেবিশিষ্টপাপিষ্ঠ,কুস্থ ষ্টতে জাপৃষ্ঠ নবঘনে অধিষ্ঠিত,তিষ্ঠিবারে দেয় না ॥ কটিত ঝাটিত ঝড়, ঝন ঝন,চড় চড়, গগণেতে গড় গড় ধড়ে এাণ রয় মণ । ত্ৰিদশ মুদ্রণর কাত, তিন মাস তনুপাত, ত্ৰাহি ত্ৰাহি ত্ৰাহি নাথ, বজ্রাঘাত অার সয় মন ৷

এ শ্লোকটার তাৎপর্ঘ্য এই – চাতক যেমন শরৎ পর্য্যণ্য ভিন্ন অন্য জল খায় না, তিনিও তেমন রাজ প্রসাদ ভিন্ন অনু্যের প্রসাদাকাঙক্ষী নহেন। রাজ বাটিতে ত্ৰিশ টকা উী: দ্বার পাওনা হইয়াছে, ভিন মাস ইঁটহাটী করিয়া আদায় করিতে পারিতে

রসসাগর । (জ্ঞামাকুর অf, ১২৮৩ ছেন না । যে মুদীর দোকানে ধার করিয়া খাইয়াছেন, সে তাগাদণয় তাহাকে সুস্থির হইতে দিতেছে না । সে মুদী কুপৃষ্ট, কুজ্যপৃষ্ঠ ও কৃষ্ণবর্ণ। একদা প্রশ্ন ছইল “ নিষ্কন্ধ চুম্বন করে রমণীর মুখ।" প্রশ্ন শুনিয়া অনেকেই অবাক হইতে পারেন, কিন্তু রসসগর সে প্রকার ধাতুর মনুষ্য ছিলেন না। র্তাহার এত সংগ্রহ ছিল এবং এত ভাব মনের মধ্যে গণথিয়া রাখিয়া ছিলেন যে, যেমন কেন উৎকট প্রশ্ন হউক না, অনায়াসে তাহার সদুত্তর প্রদান পূৰ্ব্বক প্রশ্ন কর্তাকে চমৎকার-সংবলিত সন্তোষ রসে অভিষিক্ত করিতে পারিতেন । তিনি উপরি উক্ত প্রশ্নের এই উত্তর দান করিলেন ;--- একাকিনী রজকিনী সদা মনে ছুখ। ' দিবরণতি খেটে মরে নাহি পায় সুখ। কাজ নহে ভাজ মাত্র প্রহারিয়ে বুক । নিষ্কন্ধ চুম্বন করে রমণীর মুখ । এই শ্লোকের ডাব এই ; রজকরমণী একাকিনী জামা ভাঁজ করি তেছে । কখন কখন এরূপ ঘটিত যে, কোন কারণ বশতঃ - মহারাজ রসসাগরের উপর বিরক্ত হইয়। তাছার বেতনাদি বন্ধ করিয়া দিতেন ; আবার রসসাগরের রসিকতায় মোহিত হইয়া আছাম করিতেন। এক সময়ে এই রূপ ঘটিলে রসসাগরের সংসার চলা দিতাত্ত ক