পাতা:জ্ঞানাঙ্কুর ও প্রতিবিম্ব - চতুর্থ খণ্ড.pdf/৫০৮

জ্ঞানাকুর আঃ, ১২৮৩) ঠিন ছইল। তখন অনন্যোপায় হইয়া রসসাগর মহাশয় নিজ স্ত্রীর উক্তিতে মহারাজের নিকট এই শ্লোকটী প্রেরণ করিয়াছিলেন,— নিবেদন করে দাসের দাসী, রুস সাগরের রসিক । কৰুণ ছেড়েছে নাথের নাথ, মন্দির ছেড়েছে মুষিক । অণভরণ চয় করেছি বিক্রয়, কাঞ্চন রহিত নাশিক । পাইব অশোয় তথাপি নাশায়, ধারণ করেছি ইসিক ॥ 峻 স্ত্রীলোকেরা সচরাচর কর্ণ ও নাশিকায় অলঙ্কার ধারণের ছিদ্র পাছে বুজিয়া যায় বলিয়া ইসিক অর্থাৎ খড় দিয়; রাখে । , কোন সম্পন্ন জমিদার বৃহৎ একটা ক্রিয়া করেন, তাহাতে অনেক ব্রাহ্মণ পণ্ডিত নিমন্ত্রিত হন । রসসাগর সে সভায় উপস্থিত ছিলেন। কৃতী আকাতরে স্বর্ণ রৌপ্য দান করিতেছেন। সভাস্থ কোন ব্যক্তি রসসাগরকে প্রশ্ন করিলেন “কারো স্বস্তি, কারো নাস্তি, কারো মহোল্লাস।” কিন্তু কছিয়া দিলেন, কবিত্তা তিন চরণে সমাপ্ত হুইবে । রসসাগর তৎক্ষণাৎ তিন চরণে এক শ্লোক রচনা করিয়া সভাস্থ সকলকে চমৎকৃত করিলেন – - 輸 দেখিয় দামের ঘট সুমেৰুর ত্ৰাস । ” মাচয়ে অৰুণৰাজি পদ্মিনীর হাস ॥ রসসাগর । 8b^డి কারে স্বস্তি, কারো নাস্তি কারে মহোল্লাস । প্রশ্নটার অর্থ এই ; কাহারে স্বস্তি অর্থাৎ আরাম, আর কাহারো নাস্তি অর্থাৎ স্বস্তি নহে, মুক্তরাং ক্লেশ, অর কণহারে অত্যন্তু আণনন্দ । রসসাগর ষ শ্লোক রচনা করিলেন তাছার ভাব অতি পরিপাটী। কর্তী যে প্রকার দান করিতেছেন, সেই দানের ঘট দেখিয়া সুমেৰুর ভয় হইয়ছে, সুর্যের ঘোড়া fಡರಿ, আর পঘিনী হাস্য করিতেছে । দানের ঘটা দেখিয়া ইহা দের এ প্রকার ভাবের কারণ কি ? যথেষ্ট কারণ আছে – দানের ঘট। দেখিয়া সুমেৰু এই জন্য ভয় পাইতেছে যে পাছে কৃতী তাছাকেই খণ্ড খণ্ড করিয়া দান করিয়! ফেলেন । অৰুণ বাজি এই জন্য মৃত্য করিতেছে যে, যদি ক্লভীর দানের প্রবলতায় সুমেৰুর ' ধ্বংস হয়, তবে স্থৰ্য্যকে টানিয়া লইয়া যাইবার পথ সোজা হুইল। আর সুমেৰুকৈ উল্লঙ্ঘন করিতে হুইবে না ।" পদ্মিনী এই জন্য আহলাদে গদ গদ হইয়াছেন, যে সুমেৰু যাইলে স্থৰ্য্য আর অস্তে যাইবেন না। এই ঐকল বিষয় পাঠ করিয়া কে না রসসাগরকে শত শত ধন্যবাদ করিবেন ! একবার প্রশ্ন হইল, “জননীর গর্ভ হতে প্রসবে জননী’ সকলে দেখিবেন প্রশ্নটা কতদূর উৎকট । আমাদের