পাতা:জ্ঞানাঙ্কুর ও প্রতিবিম্ব - চতুর্থ খণ্ড.pdf/৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

83? ললিত-সৌদামিনী । উৎসাহ দেন নাই, কিন্তু তথাচ সৌদামিনীর চিত্তে এক প্রকার বিশ্বাস ছিল যে র্তাহার লালতের সহিত পরিণয় হইবেক । এক্ষণে সেই বিশ্বসের (জ্ঞানাঙ্কুর অঃ, ১৯৮২ বার নিরস্ত হইলেন । কি লজ্জায়, যাহাকে একবার বিদায় দিয়াছেন তাহাকে পুনরায় আহবান করবেন ? এই রূপে যখন তিন মাস অতিবাহিত মূলোচ্ছদ ছইয়া গেল। সেদামিনী নিজ হইয়া গেল, তখন আর সাবিত্রী থাকি মনের ভাব গোপন করিবার জন্য যত্ন করিলেন । কিন্তু কোন রূপে কৃতকার্য্য তে পরিলেন না । ললিতকে পত্র | লিখিলেন । লিখিলেন যে এবার হইতে পারিলেন না। পূর্বে যে স্থানে, আর বিবাহ সম্বন্ধে কোন সন্দেহ বসিলে ললিতকে দেখিতে ভেন সেই স্থানে সৰ্ব্বদা থাকিতে ভাল বমিতেল কিন্তু এক্ষণে ভ্রমে ও আর সে গৃহে গমন করেন না । সৌদামিনীর মুখের হাসি যেন কোথায় গেল, ভাবিয়া ভাবিয়া বর্ণ মলিন ও শরীর শুষ্ক হইয়| আসিতে লাগিল । র্তাহার পিতা লিখিয় ছিলেন এক মাসের মধ্যেই উপযুক্ত পাত্র সমভিব্যাহারে কলকাতায় পেছবেন । সে এক মাস অতিবাহিত হইয়া গল । পাত্র সমভিব্যহারে আসা দূরে থাকুক তিনি একখানি পত্র ও লিখিলেন না। সাবিত্রী ও যার পর নাই চিন্তিত হুইলেন। তনয়ার সুখে তাহার সুপ, তনয়ার দুঃখে দুঃখ ; ভাবনায় সেই তনয়াকে কশাস্ত্রী দেখিয়া সাবিত্রী সাতিশয় ভাবনা-যুক্ত হইলেন । ললি*তকে বিদায় করিয়া দিয়াছেন সে জন্য এক্ষণে হৃদয় আত্মশ্লানিতে সন্তাপিত হইতে লাগিল। কতবার ললিতকে পত্র লিখিতে উদ্যত হইলেন, কতবার আ পাই- ! নাই । তাছার আগমন মাত্র প্রতীক্ষণ । সৌদামিনীর পিতা যদি রতিপতির ন্যায় রূপবান, বৃহস্পতির ন্যার বিদ্বানু, কুল কুলীনের অগ্রগণ্য পাত্রও লইয় আইনেন তথাপি সাবিত্রী সৌদামিনীকে ললিতের করে সমর্পণ করি সাপত্ৰী এই ভাবিয়া ললিতকে এরূপ পত্র লিখিলেন যে যদি তাছার সৌদামিনীকে স্থখী করতে না পারি তবে তা পর জীবনে ফল কি ? কেলি ন্যের অনুরোধে তিনি নিজ স্বামী বৰ্ত্তম ো ও বৈধব্য যন্ত্রণ ভোগ করিতেছেন । র্তাঙ্কণর তনয়"কে কখনই যে যন্ত্রণ ভোগ করিতে দিবেন না ७gझे রূপ কৃতসংকল্প হুইয়। তিনি সোঁদামি নীকে কছিলেন “বাছ অtয় কেঁদ ন, এই ললিতকে পত্র লিখিলাম । ললিত অসিলেই তোমার বিবাহ fদ । আর ক{হারে। অধুরোধ শুনিব না । যে দিবস প্রাতঃকালে সাবিত্ৰী ললি