পাতা:জ্ঞানাঙ্কুর ও প্রতিবিম্ব - চতুর্থ খণ্ড.pdf/৫১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্ঞানাকুর অঃি, ১২৮৩) কি বাদ জুঠিবে, তাছা কে জানে ? কালিকার কথা আজি কে বলিতে পারে? অাশা, ইচ্ছা, আকাঙক্ষণ সকলই বলিতেছে বাসনার ষোল কলা পূর্ণ হইবে । কিন্তু কই, তা হয় কই ? কই, মনের অাশা মিটে কই ? মনের সাধ মনেই রহিয়া যায়, ভাছ সফল হয় কই ? এ জগতে কাছার আশা মিটিয়াছে ? কে বলিয়াছে আকাঙ্ক্ষার সীমা দেখিয়াছি ? আলেকজণ্ডর বলিলেন,— “জগতে আর এমনরাজ্য নাই যে, আমি অধিকার করি।” নিউটন বলিলেন,— “বিদ্যা সমুদ্র যেমন তেমনি আছে, আমি কেবল তাহার তীরস্থ লোষ্ট্র সঞ্চয় করিয়াছি ।" আর্কমিডিজ বলি লেন,—“কোথাও এমন স্থান নাই যে অ।মি তথায় স্ত্র যন্ত্র স্থাপন করিয়া পৃথিবীটাকে সরাইয়া দি।” আর কীহার কথা বলিব ? কাহার সােথ মিটি স্নাছে, কাহার আশা সফল হুইয়াছে ? কে বলিবে যে, আমি জগতে মনের বাসনা মিটাইয়া চলিলাম। ভ্রাস্তু আশার প্রতিপদে বিস্ত্র । বাসনায় বিস্তর বাথ । তুমি যtছ স্বপ্নেও ভাব নাই, ভ্ৰমেও মনে স্থান দেও নাই, এমন অননুভূত পূর্ব অভ্যাগত ৰিপদ সমুপস্থিত হইয়া তোমার সমস্ত আশা স্রোতের জ্বলে ডাসাইরা দিতে পারে, তোমার সমস্ত, সাধে বিষাদ ঘটাইয়া দিতে পারে, বিমলা । | 8boጫ ঢালিয়া দিতে পারে, তোমাকে জীবস্মৃত করিয়া দিতে পারে। কালিকার কথা আজি কে বলিতে পারে ? ব্যবসায়ী ! হয়ত তোমার কার্য্যের অভ্যস্তর অসাবধানভা কীটে এমন জর্জর করিতেছে যে, সহসা তোমার সমস্ত কুম্পত্তি উড়িয়া গিয়া একদিনে তুমি 'পথের ফকির হইতে পার, যশর্থী । তোমার অজ্ঞাতসারে তোমারই নিকটে ভম্মাচ্ছাদিত বহ্নিবৎ এরূপ এক ব্যক্তি বৃদ্ধি পাইতেছে যে, একদিনেই তাছার নাম তোমার সমস্ত অংশ ভরসা অতল জলে নিলীন করিতে পারে । প্রেমিক ! তোমার জীবন সর্বম্বের কপট অনুরাগ ও উপেক্ষ হয়ত তোমীর হৃদয়ের স্তরে স্তরে অগ্নি জ্বালাইয়া তাহাকে চিরকালের নিমিত্ত অসার ও নীরস করিয়া দিতে পারে, বিদ্বাৰু! বিদ্বেষের উীব্র আক্রমণে তোমার অন্তরকে হয়ত চিরদিনের মত অকৰ্ম্মণ্য করিয়া দিতে পারে ; ; সৰ্ব্বোপরি মৃত্যু আসিয়া সকল সময়েই আমাদের সকল বাসনার শেষ করিয়া দিতে পারে। তবে, কালিকার কথা আজি কে বলিতে পারে? কালিকার কথা আজি কেহ বলিতে পারে না বলিয়াই তো সংসারে এত গোল ও এত অসুবিধা । কালিকার কথা আজ কেহ বলিতে পারে না বলিয়াই তো আজ অবন্তীপুরের যোগেশ হরিপাড়ার নরেন্দ্রর