পাতা:জ্ঞানাঙ্কুর ও প্রতিবিম্ব - চতুর্থ খণ্ড.pdf/৫১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8bb" পাশ্বে উপবিষ্ট । কালিকার কথ আজি কে বলিতে পারে ? যোগেশ কি অতি প্রয়ে কোথায় যাইতেছিলেন, কিরূপ বিপদে ও কিরূপ ঘটনায় এই অচিন্তিত পূৰ্ব্ব স্থানে আসিয়া উপস্থিত! কোথায় প্রাণাধিক বিমলার সন্ধানর্থ যোগেশ মাথায় সাপ বাধিয়া বেড়াইতেছেন, ন কোথায় অজ্ঞাত ব্যক্তির বিষম আঘাতে মৃতপ্রায় ! যোগেশ সে আঘাতে মরিলেন না । কিন্তু তখন তাহার অবস্থা মৃভবৎ হইল। নিৰ্ব্বোধ বাছকের ক্ষণঃ পরে ম্বিধ অবস্থা দেখিয় এ হত্যার জন্য ছয়ত তাহাদিগকে দায়ী হইতে হুইবে । তাহারা বিম! বাক্যব্যয়ে পলায়ন করিল । হত্যাকারী একজন হইলেও তাছাদের সম্প্রদায় ছিল। তাহারা ভাবিল মৃতদেহ দূরে রাখির অসিলে সকল সদেই মিটিয়া যাইবে । হরিপাড়ার নীচে সুন্ধকার রাত্রে তাছারা দেহ গঙ্গাগর্ভে ফেলিয়া দিল । দেহ নীরে পড়িল না। ঘটনাক্রমে তাছা নরেন্দ্র মনোরমার চক্ষে পড়িল । র্তাঙ্কদের দয়াতে মৃত দেহে জীবনের আবির্ভাব হইল। তাই বলি, এ সংসারে কালিকার কথা আজি কে বলিতে পারে ? .. বলা বাহুল্য, নরেন্দ্র মলেtরমণর সছিভযোগেশের যং পরোণাস্তি আত্মী র্তাহার এব ভ বিল যে বিমল । জ্ঞান সুর অী:, ১২ ৮৪ য়তা জন্মিয়াছে । যোগেশ এক্ষণে সম্পূর্ণ সুস্থ হইয়াছেন। যোগেশ নরেভদ্রকে পরমাত্মীয় জ্ঞানে মনের সমস্ত কথা ব্যক্ত করিয়াছেন । নরেন্দ্র যোগেশকে ভদ্রতার উচ্চ আদর্শ জানিয়া স্বীয় মনের মধ্যে প্রবেশ অধিকার দিয়;ছেন । কঁাদিতে কঁাদিতে, পাঠক মহাশয়ের সাক্ষাতে মনোরমণও ঐ উপযুক্ত বন্ধুকে হৃদয়ের সমস্ত বেদন জানাইয়াছেন । মনের বেদনা মনে পুষিয় রাখা বড় বলাই। এ সংসারে উপযুক্ত পাত্রে বেদম ঢালিয়া দেওয়াই ভাল । একের ভারের অন্যে যদি অংশ লয়, তাহায় হানি কি ? মনোরম মনের কথা যোগেশকে বলিয়া ফেলিলেন । তাহাতে র্তাহার উপকারই হইয়াছে। যে শেশ ভঁাহাকে পরম সমাদর করিয়াছেন, ঘৃণা করেন নাই ও অত্যাচারীকে দণ্ড দিয়া প্রতিহিংসা প্রবৃত্তি চরিতার্থ করিবেন বলিয়াছেন । মনোরমার আনন্দের সীমা নাই । সায়ংকালে নরেন্দ্র ও যোগেশ বসিয়া কথোপকথন যোগেশ বলিতেছেন,— · “তাহা আমি কেমন করিয়া বলিব ? তবে আমার বিশ্বাস: যে ৰুদ্ৰকাস্তের নিয়োজিত ব্যক্তি আমাকে মারিয়া ছিল।" . - - নরেজ বলিলেল,— । করিতেছেন ।