পাতা:জ্ঞানাঙ্কুর ও প্রতিবিম্ব - চতুর্থ খণ্ড.pdf/৫১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্ঞানাঙ্কুর অঃি, ১২৮৩) , “আমারও তাহাই বোধ হয় ।" যোগেশ কছিলেন,— “কি আশ্চর্য্য ব্যাপার ! পাপে পাপে ৰুদ্ৰকান্তের হৃদয় এমনি অষাঢ় হষ্টয়া গিয়াছে যে, কোনরূপ ছুক্ষই তাছার পক্ষে এক্ষণে আর অসাধ্য বলিয়া বিবেচিত হয় না ।”

    • আর অধিকদিন তাহাকে ওরূপ

করিতে হুইবে না । তাহার সর্বনাশ নিকট । এখনকার সংবাদ অবগত আছে ?” 尊 যোগেশ ব্যস্ততা সহকারে বলি লেন,— “si yo “আমি বিমলার সন্ধান পাইয়াছি।” যোগেশ উঠিয়া দাড়াইলেন । সমধৰ্ম্মী যন্ত্রের ন্যায় নরেন্দ্রও সঙ্গে সঙ্গে উঠিলেন। যোগেশ নরেন্দ্রের বাহুদ্বয় ধারণ করিয়া তাহার স্কন্ধে মস্তক রাখিয়া কছিলেন,— • “নরেন্থ ! তোমার ভ্রাপ্তি হইয়াছে।” 7 এতক্ষণে যোগেশের চক্ষু দিয়া এক ফোট, দুই ফোট, তিন ফোট, বহু ফোটা জল পড়িল rনরেন্দ্র বোগেশের হস্ত হইতে স্বীয় হস্ত নির্মুক্ত করিয়া কছিলেন,— } o “মা ৰোগেশ জান্ত্ৰি মহে । তুমি আজি আমায় নিৰুৎসাহ করিও মা । আমার উদ্যম তুমি নষ্ট করিও না ।

বিমল । 8yసి ৰুদ্ৰকান্ত আমার হৃদয়ের কেন্দ্রে কেন্দ্রে অগ্নি জ্বালাইয়া দিয়াছে, আমার শরীরের প্রত্যেক ধমনীতে বিষ ঢ|লিয়া দিয়াছে। আমি দরিদ্র, অক্ষম, দীন, ভিক্ষুক ; আমি সেই সমস্ত জ্বালা নীরবে সহ করিতেছি । কিন্তু যোগেশ! অঙ্কু না। এত দৌরাত্ম্য আর সন্থা যায় মা ! পাপিষ্ঠ কামিনী-কুসুম বিমলাকে আনিয়া বলরামপুরের কুঠতে রাখিয়াছে, একথায় কোন সন্দেহ নাই । এই মৰ্ম্মঘাতী কথা আজি আমার কর্ণ-গোচর হইল । যোগেশ ! এক জন মানুষের এত অত্যাচার অসহনীয় । আমি দরিদ্র হই, আর যন্থাই ছই, আমি এত দৌরাত্ম্য আর সহিব না।” নরেন্দ্রর চক্ষু আকৰ্ণ বিস্তৃত হুইল, বদন রক্তবর্ণ হইল । শরীর কম্পিত হইতে লাগিল। তিনি কিঞ্চিদরে গিয়া উপবেশন করিলেন । যোগেশ ক্ষণেক নীরবে থাকুিয়া কহিলেন ,— “ভাই ! উপায় ?” ਜਾਂ চক্ষু জলভারাক্রান্ত श्हेछन् । কহিলেন,— “যোগেশ । উপায় কি নাই ? ধনবানের অত্যাচার হইতে নিস্কৃতি লাভের কি উপায় নাই ? দরিদ্র নীরবে অত্যাচাৰু সন্থা করিবে, ইহাই কি ব্যবস্থা ? অবশ্য উপায় আছে। আমি ইহার উপায় করিব।” । যোগেশ কছিলেন,—