পাতা:জ্ঞানাঙ্কুর ও প্রতিবিম্ব - চতুর্থ খণ্ড.pdf/৫১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8>& জ্বলন্ত চিতায় লম্ফ দেওয়া একই কথা। নিস্তারের অন্য কোন উপায় না দেখিয়া, তাছারা সকলে এক মত হুইয়া রণে ভঙ্গ দিয়া পলায়ন করাই শ্ৰেয়ঃ বিবেচনা করিলেন । স্থির হইল যে, মহিলাবৃন্দ ও দ্রব্য সামগ্ৰী সমস্ত ভরণীযোগে স্থানান্তরিত করা বিধেয় । তদনুসারে সেই রাত্রেই দুই জন তত্ত্বা বধায়কের অধীনতায় সিমস্তুিণীগণকে নৌকায় অধিষ্ঠিত করা হইল। তত্ত্বাবধায়কদ্বয় ভাবিলেন যে, পুনরায় দুর্গে প্রত্যাগমন করা মরিবণর কারণ । র্তাছারা সেই বিবেচনার সিমস্তিনীদলে মিশিয়া পলায়ন করিলেন ! * রাত্রি দুইটার সময় দুর্গের গবর্ণর দ্রেক ও সেনানায়ক মিন্‌চিন প্রভূতি সমবেত হইয়া এক সভা করিলেন । কিন্তু যখন মস্তকোপরি উর্ণস্থত্রে অসি - বিলম্বিত রহিয়াছে, তখন প্রকৃতিকে স্থির করিতে চেষ্টা করা বিড়ম্বন । পলায়ন করা অবধারিতই হইয়াছিল, 'কিন্তু কোন সময় পলায়ন করা বিধেয় তাহাই নিৰ্দ্ধারিত করিবার নিমিত্ত সভা

  • “Two civil servants, named Maeningham and Frankland volunteered to superintend the embarkation of the females and having on this pretence quitted the scene of danger, refused to return,”

Thornton's History of British India Vol. T. Page 190. সিরাজ-উদ্দেলি । (জ্ঞানাকুর আঃ, ১২৮৩ সমবেত হইয়াছিল। সভ্যেরা দুই ঘণ্ট। কাল মস্তক বিঘূর্ণিত করিলেন কিন্তু কিছুই মীমাংসা হইল না। * প্রাতে অবশিষ্ট নৌকা সহায়ে পর্তুগিজ নারি-মগুলি ও শিশুগণকে বিপন্মুক্ত করা বিধেয় বিবেচিত হইল। দুর্গপ্ত তাহতেই জ্ঞাত ছিল ষে, পলায়ন করাই অবধারিত হইয়াছে । সভা যে সময় স্থির করেন নাই এ সংবাদ কাহারও কর্ণগোচর হয় নাই। ভ্রান্তি হেতু সভ্যেরা এ বিষয়ে কোন অবধারিত আজ্ঞাও প্রচার করেন নাই। প্রাতে রমণীগণকে ৰোঁকাস্থ করিবার সময় ভয়ানক কলরব, কোলাহল,বিশৃঙ্খলা ও বিপদ উপস্থিত ছইল। প্রাণ সকলের পক্ষেই অমূল্য সম্পত্তি । সকলেই স্ব স্ব জীবনকে বিপন্মুক্ত করিবার চেষ্টায় সজোরে নৌকায় উঠিতে লাগিল। কে কাহাকে নিষেধ করে, কে বা কাছার আদেশ পালন করে ? এইরূপে অতিরিক্ত ভগরাক্রান্ত হওয়ায় অনেক গুলি নৌকা ভগ্ন, চূর্ণ ও অকৰ্ম্মণ্য হইয়া আরোহী সমেত ডুবিধা গেল। আরোহীগণ অনেকে নদী-নীরে জীবমত্যাগ করিল ; অনেকে অেণতোবেগে পরিচালিত হইয়াতীর দেশে নীত হইলওমুসলমানগণের কর-করলিত হইল । নবাবের লোকের তীর ছইতে নৌকা সমস্ত

    • Orme's Indotsan. Vol. II P, 669.