পাতা:জ্ঞানাঙ্কুর ও প্রতিবিম্ব - চতুর্থ খণ্ড.pdf/৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্ঞানাঙ্কুর অঃ, ১২ ৮২) তকে উল্লিখিতরূপ পত্র লিখিলেন, সেই দিবস সায়ংকালে বামনদাস বন্দ্যোপাথ্যায় হৃষ্টচিত্তে পত্র সমভিব্যাহারে লইয়া দিগম্বরের বাটভে উপনীত হইপাত্ৰটীর নাম রামকানাই লেন । চট্টোপাধ্যায় । রামকানাই ক্লষ্ণ বর্ণ, দীর্ঘাকার, রুশ । বয়ঃক্রম অনুমা নিক চত্বারিংশৎ বৎসর, মস্তকের কেশ দুটা একটা পাকিতে আরম্ভ হইয়াছে, এবং সম্মথের দুইটী দন্ত পড়িয়া গিয়াছে। ७३ शृोज ।। ३श३ অনুসন্ধান করিতে বামনদাসের তিন মাস অতিবাহিত হইয়াছে । তিনি দিগম্বরের দ্বিতীয় পত্র পাইবামাত্রেই বাট হইতে নিষ্ক্রান্ত হন । নানা স্থান অনুসন্ধান করিলেন, কোনখানেই সুপাত্র, অর্থাৎ তাহার সমান ঘরের পাত্ৰ পাইলেন না । পরিশেষে রামকানাইয়ের সহিত সাক্ষাৎ হইল। বিবাহ করা রামকগনাইয়ের ব্যবসায় । তিনি ইতিপূর্বে এগারটা কুলীন কামিনীর আইবড় নাম যুচাইয়াছেন। সৌদামিনীকে উদ্ধার করিতে পারিলে দ্বাদশটী হয় । বামনদাস রামকানাইকে পাইয়া যার পর নাই সন্তুষ্ট হইলেন এবং অন্যান্য কথোপকথনের পর সোঁদমিনীর পাণিগ্রহণের প্রস্তাব করিলেন। রামকানাই কছিলেন উপযুক্ত পণ পাইলে বিবাহ করিতে র্তাহার কোন আপত্তি নাই,তবে এক কথা এই তিনি ললিত-সৌদামিনী 8 a স্ত্রীর ভরণ পোষণের ভার গ্রহণ করিতে পরিবেন না । ইহাতে যদি বামনদাস সম্মত হন তবে দিন স্থির করিয়া বলিয়া গেলেই রামকানাই নিৰ্দ্ধারিত দিবসে কন্যার বাটীতে উপস্থিত श३বেন । বামনদাস ভাবি জামাতাকে অবাদ করিয়া কছিলেন “বাপু তুমি চিরজীবী হও, তোমার ন্যায় সুবুদ্ধি লোক আজ কাল মেলা ভার। তুমি যথার্থই কুলীনের মর্য্যাদা বুঝো, তুমিই যথার্থ কুলীন । তুমি যে সমস্ত কথা কহিলে আমি তৎ সমুদায়ে সম্মত আছি । কন্যর ভরণপোষণের ভার তোমার লইতে হুইবেক না । আমি তাহা ইষ্টম্বরে লিখিয়া দিতে পারি। সে জন্মাবধি মাতামহালয়ে অাছে, বিবাহের পরেও সেইখানে থাকিবেক । এখন পণের কথাটা সাব্যস্ত হইলেই হয় ।” রামকানাই উত্তর করিলেন “পণের কথা পাত্রীর বয়সের উপর নির্ভর করে । কন্যা যতই বয়স্থ হুইবেক পণ ততই বেশী লাগিবেক । এ কথা অপনি না জানেন তাহা ত নছে ? আপনিও ত কুলীন ? বামনমাস কহিলেন “যাহা বলিলে, সত্য । কিন্তু আমার অবস্থার প্রতি দৃষ্টি রেখে পণের কথাটা ব’লে, অামার কন্যার বয়সও অৰক নহে।