পাতা:জ্ঞানাঙ্কুর ও প্রতিবিম্ব - চতুর্থ খণ্ড.pdf/৫৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫১২ একটি বিজন কাননে অবরোধ দশাএস্ত , রজমন পুলিষদের সেবক। সাংখ্য-পুত্র ভগিনীকে আশ্রিতের অনুসরণে বঞ্চিত করিয়া স্বীয় পাপবাসন পরিপূরণ করিবার অবকাশ প্রাপ্ত হুইল । সে তাহার পাণিগ্রহণলোভে লোলুপ পয়োধর তৃষ্ণাৰ্ত্ত পথিককে পয়োধর বর্ষণে সন্তুষ্ট নী করিয়া বিষময় অশনি প্রহারে তাহার আশা-লত সম্বুলে ধ্বংস করিল । সাংখপুত্র জন্ম। ভগিনীকে স্ববশে আনিতে নিরাশ হইয়। তাহর সর্বনাশের উপায় উদ্ভাবন করিতে লাগিল। অর্থ-বলে পুলিষের সহায়তায় জয়মনিয়ার বিৰুদ্ধে বীরেন্দ্র-ঘাতিনী অপরাধ দিয়া অভিযোগ উপস্থিত করাইল । মনিয়া বিচারালয়ে উইলমট সাহেবের নিকট নীত হইলেন। সাহেব সন্দেহক্রমে মকৰ্দমা মাসেকের নিমিত্ত স্থগিত রাখিয়া জয়মনিয়াকে হানতে রাখি বীর আদেশ দিলেন। কুঠার ঘাতে বীরেন্দ্র মৃতপ্রায় হুইয়া পথ-প্রান্তে পতিত ছিলেন । এক জন ডাক্তণর সস্ত্রীক যাইতে যাইতে এই ব্যাপার প্রত্যক্ষ করেন। ডাক্তার বাবুটি বিধাতা অথবা গ্রন্থকার প্রেরিত শ্ৰীশচন্দ্র । ইনিও বীরেন্দ্রের শৈশবসখা । কৰুণ অথবা বন্ধুতার বশবর্তী হুইয়া শ্ৰীশ বীরেন্দ্রকে নিকটবর্তী পল্পীতে লইয়া কিয়ৎকাল চিকিৎসা জয় কানন-কুসুম {জ্ঞfনাকুর আঃ, ১২৮৩ করেন । বন্ধু সুস্থ প্রায় হইলে শ্রীশচন্দ্র গন্তব্য পথের অনুসরণ করেন । পথটি পূৰ্ব্বেক্ত শিবমন্দিরের সম্মুখ দিয়া গিয়াছে। শ্রীশ বাবু সস্ত্রীক শিব-মন্দিরেউপস্থিত হইলে, পিতৃহীন প্রভাবতীকে নিতান্ত প্রভাহীন অবস্থায় অবলোকন ফরিলেন। স্বভাবের বিৰুদ্ধে কার্ষ্য করে কাছার সাধ্য ? শ্ৰীশবাবু, কাশী যাইয়া দুরবস্থার করালগ্রাসে নিপতিত৷ প্রভাবতীর দুঃখ দূর করিতে স্থির নিশচয় হইয় তা স্থাকে সঙ্গে লইলেন । স্বভাব-সুন্দরী কৃত্রিম শোভার অপেক্ষ করে না । প্রভাবতী ষে অবস্থায় থাকুন,তাহার রূপরাশি অলৌকিক, উীশের পত্নী সেরূপ নন । তিনি ঈৰ্ষাপরবশ হইয় প্রভাবতীকে বড় যন্ত্রণ দিতেন। প্রভাবতী যখন দুরবস্থায় পতিত হইয়াছেন তখন আর র্তাহার সৌভাগ্য আশা কোথায় ? এই দুঃখের অবস্থায় দলিত হইয়া এক দিন তিনি দ্বার-দেশে দাড়াইয়া আছেন এমত সময়ে একজন যুবাপুৰুষ তাছার মেত্র পথে পতিত হুইল । তিনি আর থাকিতে পরিলেন না। “দাদা দাদ|” বলিয়। তাছার গলা ধরিয়৷ কাদিতে লাগিলেন। দাদা আগুনে গলিবার Aাতু নছেন। প্রভাবতীকে ভুতলশায়িনী করিয়া দাদা অন্তর্ষিত হইলেন। ধুল্যবলুষ্ঠিতা প্রতাবতী বহুদিমের নিৰুদেশ মাতুলের সাহাৰে পুনর্জীবন,