পাতা:জ্ঞানাঙ্কুর ও প্রতিবিম্ব - চতুর্থ খণ্ড.pdf/৫৪২

জ্ঞামস্কির অt:, ১২৮৩) তোমাকে সম্প্রদান করিলাম। তুমি প্রভাবতীকে গ্রহণ করিলে, স্বকৰ্ণে এই কথা শুনিলে অস্তুরে যে বিমল সুখ-ভোগ করিব সেই আমার এখনকার প্রশস্ত পুরস্কার। আমি এখন পৃথিবী হইতে চলিলাম। পার্থিব কোন বিষয়েই অামার প্রয়োজন নাই ।” এই বলিয়া জয়মনিয়া নীরব ছইলেন । প্রাণ-বায়ু কলেবর পরিভ্যাগ করিয়া প্রস্থান করিল । কাননকুসুম বৃন্ত-চু্যত হইয়া ধরাতলে নিপডিত হইল । রজমন জয়মনিয়াকে পরিত্যাগ করিয়া কেমন করিয়া ধরণতলে থাকিবেন ? তিনিও তাছার অনুসরণ করিলেন । অতঃপর বীরেন্দ্র ও প্রভাবতীর পরিণয় সমাপ্ত হইলে, চতুরা বিলাসবর্তী আপনার জীবনের উপর চ প্রকাশ করিল। এই তাহার শেষ চতুরী। ছুরিকাঘাতে আত্মঘাতিনী इटेंब्लू । 象 কেহ বলেন ইতিবৃত্তের জটিলভ, প্রত্যেক ঘটনার—প্রধান ঘটনার উপযোগিতা ও কৌতুহলোদ্দীপকতা নবন্যাসের প্রাণস্বরূপ । কেছ বলেন মানব চরিত্রের প্রকৃতি ও ক্রিয়াগত প্রভেদ প্রদর্শন ও সুচাৰু-রূপে প্রক্লতির যথাযথ বর্ণনই তাহারজীবন্ত ভাব। এক্ষণে খণ্ড প্রকার মডেল প্রকাশিত হইতেছে শুৎসমুদয়ই দুই শ্রেণীতে বিভক্তঞ্চ একটা খঙ্কিৰ বাবুর পন্থা কানন-কুসুম | õ ማ মুসরণ করিয়া কেখিলময়ী লেখনীতে বিবিধ চিত্রে চিত্রিত । অপরটা কালধৰ্ম্মানুষায়িক মানবগণের চরিত্নচিত্রে পরিপূর্ণ। কানন-কুসুম শেষোক্তের অন্তর্গতু । গ্রন্থকারের প্রধান উদ্দেশ্য এই , ষ্ণুে যমুষ্যের দুর্গম জনহীন নিভৃত প্রদেশ-জাত কণ্টকীরুক্ষে প্রস্ফ,ੱਚ কুসুম, আজন্ম মনুষ্য-যত্নে পরিপালিত ও পরিবদ্ধিত কুমুমের ন্যায় সদগন্ধশালী হয় কি না, তাছাই দেখান । কানন-কুসুমে গ্রন্থকারের সেই বাসনা সম্পূর্ণরূপে স্বসিদ্ধ হইয়াছে। কাননকুসুম পাঠে পাঠক মাত্রেই দেখিতে পাইবেন যে, স্বভালভঃ স্বাভাবিক প্রকৃতি নিচয় কতদূর প্রবল বেগে প্রবাহিত হইয়া থাকে কৰুণ’, মমতা প্রভৃতি স্বাভাবিক সদ গুণের সহিক্ত শিক্ষার কোন সম্বন্ধ আছে কি না । কানন-কুসুম পাঠ করিলে, বাছার ভাবেন, অসদ্বংশ অসন্তানের, মৰুভূমি তপন-কিরণে তপ্ত কালান্তক কালোপম বালুক ও কুহকিনী মরীচিকার এবং দুস্তর পারাবার মকর কুম্ভীর প্রভৃতি নরদ্র জীব ও অত্যুম্নত শৈলমালার অণকয় স্থান, তাছারাই দেখিতে পাইবেন যে, সেই চির-কালিমাৰ্বত নীচকুলে নারী-কুঞ্জের শিরোভূষণ-স্বরূপ জয়মনিয়া মৰান রত্ন, সেই অকুল অর্ণৰে শত শত স্থপত্তি-স্থলভ মঙ্করত্ন