পাতা:জ্ঞানাঙ্কুর ও প্রতিবিম্ব - চতুর্থ খণ্ড.pdf/৫৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

! জ্ঞানাঙ্গুর কা; ১২৮৩) রসসাগর । ၾခ রসসাগর । পূৰ্ব্ব প্রকাশিতের পর । রসসাগর সম্বন্ধে আমাদের সংগ্রহ জীবিত ছিলেন, তিনি সম্পর্কে গিরীশ প্রায় শেষ হইয়া আসিল । কাৰ্ত্তিক মাসে জ্ঞানাঙ্করের বর্ষ শেল, আমরা সেই বর্ষ শেষ সঙ্গে ইহার ও শেষ করিব মনস্থ করিতেছি। যদি ইহাকে কখনও গ্রন্থাকারে পরিণত করিতে সক্ষম হই, তবে আরও কতকগুলি নূতন পাদপূরণ প্রকাশ করিতে ক্ৰটী করিব না। অনেকদিন হইতে আমরা রসসাগরের সমস্যাগুলি সংগ্ৰহ করিতেছি । এমন কি শুণমাধব বাবুর গ্রন্থ প্রচারের পূর্বেও আমাদের ঐ সকল হস্তগত ছিল,কিন্তু উহাদিগের অর্থ ও ইতিবৃত্ত সংগ্ৰহ করিতে এত সময় লাগিয়াছে। উক্ত ক্ষুদ্র গ্রন্থের সহিত মিলাইলে অনেকে ইহাতে স্থানে স্থানে পাঠ পরিবর্তন দেখিতে পাইবেন । যে পাঠে অর্থ সঙ্গতির ব্যাঘাত না হয়,তাহাই গৃহীত হইয়াছে। গ্রন্থ প্রকাশ করিবার সময় তামরা ইহাকে তারও সুমার্জিত করিয়া প্রকাশ করিব। এখন অধিক বাগাড়ম্বরে প্রয়োজন নাই । কোন সময়ে রাজসংসারে উপযুক্ত কৰ্ম্মচারী না থাকায় বিষয় বিভবাদি অত্যন্ত অব্যবস্থিত হইয়াছিল । অনেকেই অবগত আছেন, নবদ্বীপের রাজবংশীয়ের অস্থাপি হরধাম, আনন্দধাম, শিবনিবাস প্রভৃতি স্থানে বাস করিতেছেন। হরধামে সেসময় রাজা গঙ্গেশচন্দ্র ૭૧ চন্দ্রের পিতৃব্য । তিনি র্তাহার নামের সহিত বাজপেয়ী উপাধি ধারণ করিতে বড় ভাল বাসিতেন, সেই জষ্ঠ রাজা র্তাহাকে বাজপেয়ী খুড় বলিয়া ডাকিভেন। তাহঁদের অবস্থা অতি মন্দ ছিল। তিনিই ঐ সময়ে নবদ্বীপাধিপতির সংসারে কৰ্ম্মকৰ্ত্ত হইলেন । র্তাহার মনের ভাব যে এসময়ে রাজসংসারে প্রবেশ করিয়া যে সকল ওমরাও দ্রব্যাদি অাছে লইয়া প্রস্থান করেন। বাস্তবিক কিছুদিনের মধ্যে তাহাই করিলেন । র্তাহাকে লক্ষ্য করিয় রসসাগর নিম্নলিখিত শ্লোক ছুইটী রচনা করেন। যথা ; – কি তার বলিল বিপাতার ভবিতব্য । ছাদ ড়ে লয়ে যায় ওমরাও দ্রব্য । পাতসাই জিনিস যত ছিল উপজীব্য। অধনেন ধনং প্রাপ্ত হায়রে পিতৃব্য । নবদ্বীপের অধিপতি নৃপতির চূড়া। কত ইন্দ্র চন্দ্র এই দরজায় খেয়ে গিয়াছেন হুড়া ॥ সকল নিলে লুটে পুটে রাখলে না এক গুড় । না বিইয়ে কানাইয়ের মা বাজপেয়ী খুড়া ॥ o বাজপেয়ী যজ্ঞ না করিয়া বাজপেয়ী উপাধি ধারণ করাতেই “ন। বিইয়ে কানাইয়ের মা” বলিয়া উপহাস করা হইয়াছে। - o