পাতা:জ্ঞানাঙ্কুর ও প্রতিবিম্ব - চতুর্থ খণ্ড.pdf/৫৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( 3 డి পাঠকবর্গের স্মরণ থাকিতে পারে,যে রসরাজ একসময়ে রাজীবলোচন সরকার নামক রাজ সংসারের ইজারদারের হাতে পড়িয়া ছিলেন। মুন্সী গোলাম মোস্তফাও একজন ইজারাদার ছিলেন। কিন্তু ভিনি অত্যন্ত সুন্দর স্বভাবের লোক ছিলেন। ইহঁর নিবাস বগুলা, ষ্টেসন হইতে গ্রামমধ্যে যে পুরাতন দ্বিতল গৃহট দেখিতে পাওয়া যায়, উছাই তাহার ৰাটী। ঐ ব্যক্তিকে লক্ষ্য করিয়া রসসাগর নিচের লিখিত শ্লোকটী রচনা করেন। সকল বাণিজ্য হতে ইজারদারী তোফা। দয়া ধৰ্ম্ম চক্ষু লজ্জ ইস্তফা তিন দফা ॥ এ রসসাগরে জানেন অনেক চৌগোফ । মনুষ্যত্ব দেখি মুন্সী গোলাম মোস্তফা । নিম্নে আমরা রসসাগরের গুটি কতক শ্লোক দিতেছি তাহার অর্থ বা ইতিবৃত্ত আমাদের জানা নাই। ব্যক্তি বিশেষ যে এই শ্লোক গুলির লক্ষ্য তাহার সন্দেহ নাই । “আস্তে আজ্ঞে হোক।” পেটে খেলে পিটে সয় গোবৰ্দ্ধন কি লোক গোবত্স লয়ে গোপ নিরুদ্বেগে রোক । কাছের মানুষ চিন্তে নার সর্বাঙ্গে চোক মতিভ্রম পরিশ্রম আসতে আজ্ঞে হোক । “झङ् झङ् झश् ।' আর কেন বাক্য ब्लोष्6 झङ् लश् लङ्। শু্যাম কলঙ্কিনী ধাণী কহ কহ কহ । মনোরম্য বোধ গম্য নহ নহ নহ। রসসাগর (জ্ঞানাঙ্কুর কাঃ ১২৮৩ রমণে রমণ করে – রহ রহ রহ { “স্বামীর পরম ইচ্ছা স্ত্রীর গর্ভে যায় ।” পুত্রের পরম ইচ্ছ। পিতা হয় অস্তি । শাশুড়ির সাধ মনে জামাতারে পতি ॥ পুত্র বধূর পরম ইচ্ছা স্ত্রীর গর্ভে যুiয়। স্বামীর পরম ইচ্ছা স্ত্রীর গর্ভে যার । “হায় হায় হায়” পুত্রের বাসনা মনে পিতা হউক অতি। শাশুড়ীর বাসনা মনে জামাই হউক পতি। বধুর বাসন মনে শ্বশুর লাগুক গায় । এ বড় আশ্চৰ্য্য কথা হায় হায় হায় ৷ ബഅ്ജക്കൂ . “ওরে সর্বনেশে ।” কাম ক্রোধ লোভ মোহ সাঙ্গ করে এসে কামার ডিঙ্গির থালের ধারে কাল রয়েছে বসে ॥ মনতো ভূলি গুপ্ত পল্লি তুচ্ছ কল্লি হেঁসে। তোরে যা বলেছে তাই করেছিস ওরে সর্বনেশে ॥ আমরা পূর্বে প্রতিশ্রত হইয়াছি, যে রসসাগর প্রবন্ধের শেষ ভাগে তাহার রচিত কতিপয় হিন্দী শ্লোক দিব। কৃষ্ণনগরের প্রাচীন লোক মুখে শুনিতে পাই রসসাগর অনেক হিন্দী শ্লোক রচনা করিয়া গিয়াছেন। কিন্তু কালক্রমে সে গুলি লুপ্ত হইয়া গিয়াছে। আমরা যে কয়ট পাইয়াছি তাছাই এস্থানে প্রকাশ করিলাম । মহারাজ গিরিশ চন্দ্রের পৌত্র সতীশ