পাতা:জ্ঞানাঙ্কুর ও প্রতিবিম্ব - চতুর্থ খণ্ড.pdf/৫৫৯

& 53 t উদ্যাল তেমন র্য নয়,অগ্নি তেমন উত্তপ্ত নয়, মধ্যাম্বে সে তালোক নাই,নিশীথে সে নিস্তব্ধতা নাই, উলতে সে মাধুর্য্য নাই, তার, চন্দ্রের কলঙ্ক আছে,তাকাশে মেঘ আছে, মেঘে অশনি আছে; বিদ্যায় বিড়ম্বন আছে, জ্ঞানে মোহ আছে, দর্শনে ভ্রম আছে, বিজ্ঞানে উন্নতির ক্রম তাছে। কিন্তু আমাদের সে প্রণয় অতুল্য অমুল্য। এখন তারা দুই জনে এক । বিধি ! এমন নিধিও কাড়িয়া লইতে হয় ? * ‘. নিধিরামের কথা ফুরাইবার নহে ; অনন্ত কথা, বাড়াইলেই বাড়ে। অতএব এখন নিধিরামের পরিচয় নিধিরামের কথাতেই দিব ; আমি আর কিছু বলিব না । একবারেই বলিব না, তাহা নহে ; যাহা না বলিলে নহে ভাহা অবশ্যই বলিব। আজি যাহা বলিব,তাহা এই ; . নিধিরাম বড় অনুশীলনশীল ছিল ; | নিধি পড়িত বিস্তর, লিখিত তারও বস্তর। যাহা লিখিত, তাই আমাকে পড়িয় শুনাইত শুনান শেষ স্কুইলে আমি তাহার লেখা গুলি, ভাল বাসিতীম বলিয়া, তুলিয়া রাখিতাম। কে জনিত যে সেই যত্ব রক্ষিত লেখা ধরিয়া এখন আমাকে কাদিতে হইবে । নিধি সকল প্রকারের লেখাই লিখিত ; কাব্য, ইতিহাস, প্রবন্ধ কম্পন, অলীক জম্পনা ;এসমুদয় যেমন সহজে, তাহার লেখনী মুখ হইতে বহির্গত হইত, অনন্ত ভাবাভাব । (জ্ঞানাচুর কাঃ ১২৮ দর্শন,বিজ্ঞান, জীবন চরিত; প্রত্নতত্ত্বও সেই রূপ অবলীলায় আসিত। দুঃখের বিষয় তাহার কোনও লেখাই সৰ্ব্বাক্ষ সম্পন্ন নহে। কিন্তু তাহ বলিয়া উপায় নাই। নিধিরামের এই সমুদয় অতীত কীৰ্ত্তি আমি সময়ে সময়ে মুদ্রাক্ষরে প্রতিষ্ঠিত করিয়া লোকের কৃতজ্ঞতা ভজন ও সঙ্গে সঙ্গে যশোভাজন হইব ; এইরূপ সঙ্কণপ করিয়াছি। আদ্যকার মত সেই জন্য এই ভূমিকার “ইতি" সাধন করা গেল । ( নিধিরামের রহস্য প্রবন্ধ । ) একটা ঘর ছিল, এখন তাহ নাই সুতরাং কোথায় ছিল, বলিবার প্রয়োজন নাই। আমার ভুল হইয়াছে, ঘর ত ছিলই, একটা বাড়ী ছিল, তাহাতে অনেক গুলি ঘর ছিল । এখন সে সব কিছুই নাই। বাড়ীট উত্তম বাড়ী, রাজার বাড়ীর মত বাড়ী। কে কখনৃ সে বাড়ী প্রস্তুত করে, তাহা ভগবান জানেন। বাড়ীর দুই দিকে অলংঘ্য প্রাচীর, আর দুই দিকে অলংঘ্য পরিখ । কাহার বাড়ী, বলিতে পারি ন, অথবা যে বলে আমার তাহ ज्ञशे । - ফলতঃ বাড়ীটা ছিল ; সুন্দর বাড়ী, বাড়ীর মধ্যে উৎকৃষ্ট নিকৃষ্ট উদ্যান, পুষ্করিণী, দীর্ঘিকা, কত বলিব ; সকল প্রকার জলাশয়,সকল প্রকার ফলাশয়। বর্ণনায় বাহুল্য হয় মাত্র। লাভ কিছুই