পাতা:জ্ঞানাঙ্কুর ও প্রতিবিম্ব - চতুর্থ খণ্ড.pdf/৫৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্ঞানাঙ্কুর কটু ১২৮৩) বিমল । বিমল লে{ড়শ পরিচ্ছেদ । তপ্ত বলরামপুরের কাছারি বাটী:ত আনন্দের সীমা নাই। তথায় অস্ত্য রজনীযোগে এক সমারোহের বিবাহ হইবে। বিবাহের পাত্র রামকৃষ্ণ চক্র বী। পাত্ৰী বিমলা। বরকর্তা স্বয়ং ৰুদ্ৰকান্ত রায় । সকলেই তানন্দ সাগরে মগ্ন। রামকৃষ্ণ অদৃষ্ট এমনও ছিল ভাবিয়া খুনী ৰুদ্ৰকান্ত অত্যাচারের চূড়ান্ত হুইবে ভাবিয়া খুনী লোক জন যা হবার নয় তাই হুইল ভাবিয়া খুলী । মামা ঠাকুরের বিবাহ - স্বপ্নের অগোচর কথ। । রূপের হেঁদেল কুতকুতে মাম। ঠাকুরের বিবাহ হইবে—যেমন তেমন বিবাহ নয়, সাক্ষাৎ স্বর্গের অপ্সরার সঙ্গে, সুতরাং অনুজনবর্গ মহা খুদা। ফল কাছারি বাটী আনন্দ ভোলপাড়। এত আমোদ, এত আনন্দ মধ্যে কেবল এক জন বিরলে বসিয়া কঁাদিতেছে । সে এক জন বিমলা । বিমলা কঁাদিতেছেন । কিন্তু তিনি কঁাদিতেছেন, তা অণমার কি ? সংসারে কত লোক কত সময় কঁাদিয়া থাকে । সকলের কান্না দেখিতে গেলে চলে ল । যার ইচ্ছা হয় সে র্কাভুক। তা বলিয়া আমরা আপন কাজ ছাড়িব কেন ? যে কোন রূপে আত্ম কাৰ্য্য উদ্ধার করা চাই । এখন বিমলার রোদন দেখে কে ? বিম やァ লার ইচ্ছা আছে কি না আছে, তাহাই বা জানিবার দরকার কি ? সংসারে কোন কাৰ্য্যই সর্ববাদী সম্মত হয় না । বিশেষতঃ পাত্রীর মত লইয়া বিবাহ কোথায় হয় ? তার পাত্রীর মত না থাকিলেই কি বয়ে গেল ? সুতরাং বিমলা কি করিতেছেন সে জন্য কেহ চিন্তিত বা কাতর নহে । সে দিকে কাছার লক্ষ্যও নাই । o বাছার ঘরের পার্শ্বস্থ বৈঠকখান ঘরে কন্দ্রকন্তু ও চারিজন বয়স্য বসিয়া অণমোদ প্রমোদ ও মন্দ চর্চায় রত রহিয়াছেন। এমন সময় সম্মুখের দ্বারসংলগ্ন সবুজ রঙ্গের পরদা একটু খানি সরিয়া গেল । সেই র্যণকের ভিতর দিয়া একটি কৃষ্ণ বর্ণের কৃপা বা জালা প্রবেশ করিতেছে বোধ হইল। বিশেষ অনুধাবনে বুঝা গেল, সেট কুপা বা জালা নছে। তাহ কথঞ্চিৎ মনুষ্যের উদর সদৃশ । একে একে হস্ত পদাদি সমস্তই প্রকোষ্ঠ মধ্যে প্রবেশ করিল। ভাবতের সম্মিলনে যে অদ্ভত জীবের উদ্ভব হইল তাহার নাম রামকৃষ্ণ চক্রবর্তী । রামকৃষ্ণের হরিদ্র বর্ণের দন্তু আজ আর ঢাকিতেছে না। আজ র্তাহার অধরোন্ত ( ইঁ। তাই বটে ) ভেদ করিয়া হাস্যের তরঙ্গ বাহির হইতেছে। যেন গৈামুখী হইতে গঙ্গার উদ্ভব হইতেছে।