পাতা:জ্ঞানাঙ্কুর ও প্রতিবিম্ব - চতুর্থ খণ্ড.pdf/৫৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

& 8 o সপ্তদশ পরিচ্ছেদ । সন্ধ্যা উপস্থিত প্রায়। বিবাহ অলপ | রাত্রেই হইবে স্থির হইয়াছে। সুতরাং আর বিলম্ব নাই। লোক জন সকলেই ব্যস্ত । রামকৃষ্ণ আলাদে ফুটি বর্ণকুড় । ৰুদ্ৰকান্ত অস্থির। কাছারি বাটী লোকের কণ্ঠ-স্বরে প্রতিধ্বনিত । বৈঠকখানার সম্মুখস্থ প্রাঙ্গণে রোসন চৌকি লক্ষেী ঠংরি বাজাইতেছে । কয়েকজন ব্যক্তি বসিয় তাহ শুনিতেছে। ৰুদ্ৰকান্ত বাবু নুনি কাজে ব্যস্ত, সুতরাং নিয়মিত রূপে শুনিতে পাইতেছেন না । শুনিতে পাইতেছেন ন, ভাহা নহে । তিনি যখন যে স্থানে রহিয়াছেন তথা হইতে তাহ বেশ শুনা যাইতেছে; তথাপি তিনি শুনিতে পাইতেছেন না । তাহার শুনার মানে অদ্যবিধ। তিনি কিছুই বুঝেন না, তাহার কোনই জ্ঞান নাই। তথাপি তাহার হাত নাড় চাই, অসময়ে করতালি দেওয়া চাই এবং পাশ্বস্থ ব্যক্তির, বিশেযতঃ রোসনচোঁকি ওয়ালার সেলাম করিয়া বলা চাই যে, বাবুর বোধ শক্তি বড়ই ভাল। তিনি এই সকল শুনিতে পাইতেছেন না। যাহা হউক কোন রূপ প্রকারে একটু সাবকাশ করিয়া বাবু বাদ্য স্থলে “আছা হায়” শব্দে উপস্থিত হইলেন। র্তাহার গলার চীৎকারে " বাদ্যের বিঘ্ন জন্মিল। বাদকেরা থামিয় বাবুকে সেলাম করিয়া করজোড়ে নিবে o বিমলা । (জ্ঞানাঙ্কুর কাঃ ১২৮৩ দল করিল, “আঃ বাবু আসিয়াছেন, আমর বাজাইয়া বঁচি ।” বাবু হাসিতে লাগিলেন। বাদকের, পুনরায় অদ্যবিধ বাদ্য আরম্ভ করিল। এমন সময় রামকৃষ্ণ ব্যস্ততা সহ সেই স্থলে উপস্থিত হইলেন এবং ৰুদ্ৰফীস্তুকে কছিলেন,”-- “সেকি বাবাজি তুমি বাজ ন৷ শুনৃতে বসিলে তো চলিবে না । শেষট কি কাজট পণ্ড হবে নাকি ? রাত্রি প্রায় বারটা বাজে, লগ্ন ভ্ৰষ্ট করে ফেল্পে দেখচি।” ৰুদ্ৰকান্ত মাতুলের পৃষ্ঠে থাবা দিয়া কহিলেন, -- “আমি থাকৃতে তোমার কোন চিন্তা নাই বাবা । তুমি বস, বাজ না শুন। এখনও ৬টা বাজে নাই। ভয় কি ?” 领 এই বলিয়া সজোরে রামকৃষ্ণকে পার্শ্বস্থ মোড়ায় বসাইলেন। রামকৃষ্ণ কলের সঙ্গের হ্যায় বসিলেন । সকলে ইত্যাদি রূপ আমোদ কৌতুকে প্ৰমত্ত | রছিলেন । পাঠক ! নিরস্তুর আমোদ চচ্চায়থাকাও তো ভাল নহে। সময়ে সময়ে শোকে বিমিশ্রিত হওয়াও ভাল । সতত এক কাৰ্য ভালও লাগে না । নিয়ত আমোদে থাকিলে, আমোদও কালে বিষবৎ প্রতীত হইতে থাকে। নিয়ত