পাতা:জ্ঞানাঙ্কুর ও প্রতিবিম্ব - চতুর্থ খণ্ড.pdf/৫৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

な3次 —t লোচনযুগল রক্তবর্ণ, বর্ণ মলিন, কেশ রাশি বিশৃঙ্খল, পরিধেয় মলিন, দেহ নিরাভরণ । বিমলা যেন সে বিমলা নহেন । বহুক্ষণ এক মনে বসিয়া, আত্ম অবস্থা চিন্তু করিয়া বিমলা দীর্ঘ নিশ্বাস সহকারে কছিলেন,–. “এ জীবনে কাজ কি ? যে জীবনে সুখ নাই সে জীবন রাখিবার প্রয়োজনু কি ? জীবন রাখিব ? না---কাহীর জীবন রাখিব ? যাহার সম্পত্তি তাহাকে বঞ্চিত করি এ সম্পত্তি, রাখিবার প্রয়োজন ? না,এ জীবন রাখিব না।” বিমলা আত্মহত্য স্থির করিয়া সে স্থান হইতে গাত্ৰোখান করত সন্নিহিত স্থানে একখানি পিঁড়ি ছিল তথায় গিয়া উপবেশন করিলেন । বিমলা স্থির করিয়াছিলেন যে, সেই পিঁড়ির আঘাতে মস্তক চূর্ণ করিয়া ফেলিবেন। পিঁড়িখানি উঠাইলেন । প্রকোষ্ঠের চতুর্দিক একবার স্থিরনেত্ৰে দেখিয়া লইলেন । ভাবিলেন সংসারে আজ আমার এই শেষ দেখা । লেচন দিয়া এক ফোটা দুই ফোটা করিয়া বহু বিন্দ্র জল পড়িতে লাগিল। বিমলা কণদিতে বণদিতে কহিলেন,— “যোগেশ ! প্রিয়তম ; প্রাণনাথ ! বিমলা (জ্ঞানাঙ্কুর কাঃ ১২৮৩ হৃদয়বল্লভ ! এ জীবনে আর সাক্ষাৎ হইল না । তোমার নিরূপম বদন “আর দেখিতে পাইব না । না পাই—তামার আশা আছে। আমি এ পৃথিবীতে, থাকিতে পাইলাম না । আমার কি হইল তাহা তুমি জানিতে পারিলে না। কিন্তু আমার বড় আনন্দ যে আমি তোমারই থাকিয়া মরিলাম । হৃদয়েশ ! অভাগিনীর সর্বস্ব ধন যোগেশ ! আমার চরমকাল আগত ।” । এই বলিয়া বিমলা সেই পিঁড়ি উত্তোলন করিয়া সজোরে স্বীয় মস্তকে প্রচণ্ড আঘাত করিলেন । র্তাহার আ|ঘাত কার্য্য শেষ হইতে ন হইতে প্রকোষ্ঠের কন্ধ দ্বার উন্মুক্ত হইল এবং ব্যস্ততা সহকারে যোগেশ প্রকোষ্ঠ মধ্যে প্রবেশ করিলেন ! যোগেশ দেখিলেন বিমলার দেহ ৰুধিরাপ্লাবিত, চৈতন্য শূন্ত, ভূপতিত। তাহার সংজ্ঞা লোপ হইল। উচ্চৈস্বরে কছিলেন,—

  • বিমলে । বিমলে !” উত্তর পাইলেন না।

“আমার বিমলার এ অবস্থা কে করিল” বলিয়া যোগেশ সংজ্ঞা রছিত হইয়া বিমলার শোণিতাক্ত দেহ পাশ্বে পড়িয়া গেলেন । । ক্রমশঃ ബ്-ബ