পাতা:জ্ঞানাঙ্কুর ও প্রতিবিম্ব - চতুর্থ খণ্ড.pdf/৫৬৮

জ্ঞানাঙ্কুর কী ১২৮৩) ভুবনমোহিনী প্রতিভা, অবসর সরোজিনী ও দুখ সঙ্গিনী। ৫৪৩ --—— --——---—- so- سسس سی -- . مسسیسس۔ --. -------- سہ ভুবন মোহিনী প্রতিভা, অবসর সরোজিনী ও দুখ সঙ্গিনী । - মনুষ্য হৃদরের স্বভাব এই যে, যখনই । রাশিও উর্বর করিতে পারে। কিম্বা সে সুখ দুঃখ শোক প্রভৃতির দ্বার ; যখন অগ্নি শৈলের স্থায় আমাদের হৃদয় আক্রান্ত হয়, তখন সে ভাব বাহে ফাটিয়া অগ্নি রাশি উদগীরিত হইতে প্রকাশ না করিলে সে মুস্থ হয় না। । থাকে, তখন সেই অগ্নি আদ্র কাষ্ঠও যখন কোন সঙ্গী পাই, তখন তাহার জ্বালাইয় দেয়, সুতরাং গীতিকাব্যের নিকট মনোভাব ব্যক্ত করি, নহিলে ! ক্ষমতা বড় অলপ নহে। ঋষিদিগের সেই ভাব সঙ্গীতাদির দ্বারা প্রকাশ | ভক্তির উৎস হইতে যে সকল গীত করি। এই রূপে গীতিকাব্যের উৎপত্তি। উত্থিত হইয়াছিল, তাছাতে হিন্দুধৰ্ম্ম আর কোন মহাবীর শক্র হস্ত বা কোন গঠিত হইয়াছে, এবং এমন দৃঢ়ৰূপে অপকার হইতে দেশকে মুক্ত করিলে• গঠিত হইয়াছে যে, বিদেশীয়রা সহস্ৰ র্তাহার প্রতি কৃতজ্ঞতা সুচক যে গীতি বৎসরের অত্যাচারেও তাহা ভগ্ন করচিত ও গীত হয় তাহ হইতেই মহা রিতে পারে নাই । এই গীতিকাব্যই কাব্যের জন্ম। সুতরাং মহাকাব্য যেমন যুদ্ধের সময় সৈনিকদের উন্মত্ত করিয়া পরের হৃদয় চিত্র করিতে উৎপন্ন হয়, তুলে, বিরহের সময় বিরহীর মনোভার তেমনি গীতিকাব্য নিজের হৃদয় চিত্র লাঘব করে, মিলনের সময় প্রেমিকের করিতে উৎপন্ন হয়। মহাকাব্য আমরা মুখে আহুতি প্রদান করে, দেবপূজার পরের জন্য রচনা করি এবং গীতিকাব্য সময় সাধকের ভক্তির উৎস উন্মুক্ত আমরা নিজের জন্য রচনা করি। যখন করিয়া দেয়। এই গীতিকাব্যই ফরাসী প্রেম, কৰুণ, ভক্তি প্রভৃতি বৃত্তি সকল বিদ্রোহের উত্তেজনা করিয়াছে, এই হৃদয়ের গড় উংসু হইতে উৎসারিত গীতিকাৰ্যই চৈতন্তের ধৰ্ম্ম বঙ্গদেশে হয়, তখন আমরা হৃদয়ের ভার লাঘব বদ্ধমূল করিয়া দিয়াছে, এবং এই করিয়া তাহ গীতিকাব্যরূপ স্রোতে ; গীতিকাব্যই বাঙ্গালির নির্জীব হৃদয়ে ঢালিয়া দিই এবং আমাদের হৃদয়ের আজ কাল অলপ অলপ জীবন সঞ্চার পবিত্র প্রঅবনজাত সেই স্রোত করিয়াছে। মহাকাব্য সংগ্ৰছ করিতে হয়ত শত শত মনোভূমি উর্বরা করিয়া হয়, গঠিত করিতে হয় ; গীতিকাব্যের পৃথিবীতে চিরকাল বর্তমান থাকিবে উপকরণ সকল গঠিত আছে, প্রকাশ ইহা মৰুভূমির দগ্ধ বালুকাও আদ্র করিলেই হইল।” নিজের মনোভাব করিতে পারে, ইহা শৈল ক্ষেত্রের শিল প্রকাশ করা বড় সামান্ত ক্ষমতা নহে।