পাতা:জ্ঞানাঙ্কুর ও প্রতিবিম্ব - চতুর্থ খণ্ড.pdf/৫৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্ঞানাঙ্কুর কুঃি ১২৮৩) ভূবনমোহিনী প্রতিভা, অবসর সরোজিনী ও দুঃখ সঙ্গিনী । ৫৪৯ র্থাংশ কমিয়া যায়। যখন আমর .*‘রুধির মেখেছে, রুধির পিতেছে, রধির প্রবাহে দিতেছে সাতার ছিন্ন শীর্ষ শব, ভেসে যায় সব পিশাচী প্রেতিনী কাতারে কাতার ! সম্বনে মিস্বনে মলয় পবন, অtহরি মুরভি নন্দন রতন মন্দার সৌরভ অমৃত রাশি মৰ্ম্মরিছে তরু অটল ভূধর দমিছে দাপেতে কঁাপিছে শিখর – প্রভৃতি পড়িয়া কিছুই অর্থ করিতে পারি না তখন ভুবনমোহিনীকে মনে পড়ে এবং ইহার অর্থ বুঝিতেও চাই না ! যখন উন্মাদিনী পড়িয়া আমাদের হাসি আসে তখন ভুবনমোহিনীকে মনে পড়ে অমনি হাসি চাপিয়! ফেলি! যখন প্রতিভার “ পিশাচী " “ প্রেতিনী • ময়ী কবিতার মধ্যে কোন কর্কশ কথা পাই তখনি ভুবনমোহিনীকে মনে পড়ে ও আমরা যথাসাধ্য কোমল করিয় পাঠ করি । একজনকে আমি • “উন্মাদিনী” কবিতার অর্থ বুঝাইতে বলি, তিনি কহিলেন আমি ইহার অর্থ বুঝাইতে পারি না, কিন্তু ইহার অভ্যন্তরে একটা মাধুৰ্য আছে। কবিতার মধ্যে মাছ অসম্বন্ধ প্ৰলাপ, যাহার অর্থ হয় ন লোকে তাছার মধ্যে মাধুৰ্য্য কম্পন করে এবং দর্শনের মধ্যে যে অংশ গীতিকাব্যের দোষ এই যে ੋ - জ্বল নাই, অর্থ নাই, উন্মত্ততাময় ; অনেকে মনে করেন এরূপ উন্মত্তত: না হইলে কবির উচ্ছসিত হৃদয় হইতে যে কবিতা প্রস্তুত হইয়াছে তাহার প্রমাণ থাকে ন । প্রতিভ এই দোষে কলঙ্কিত । ইহার অনেক দোষ পরিহার করিয়া কছুকগুলি কবিতা পাই যাহা উচ্চ শ্রেণীর কবিতা বলির গণ্য হইতে পারে । “সরোজিনী” ও “গ্ৰতিভা" পড়িতে •ਿਚ আমরা “দুঃখসঙ্গিনীকে” ভুলিয়। গিয়াছিলাম। “দুঃখসঙ্গিনীতে” অর্ষ্য সঙ্গীত নাই, আর্য রক্ত নাই, যবন নাই, রক্তারক্তি নাই ; ইহাতে হৃদয়ের অশ্রািজল, হৃদয়ের রক্ত ও প্রেম ভিন্ন আর কিছুই নাই। হৃদয়ের বৃত্তি নিটরের মধ্যে প্রেমে যেমন বৈচিত্র আছে, এমন আর কিছুতেই নাই।. প্রেমের মধ্যে দুঃখ আছে, স্থখ আছে, | নৈরাশ্ব আছে, দ্বেষ আছে, এবং প্রেমের সহিত অনেকগুলি মনোবৃত্তি জড়িত ! এখন কতকগুলি সমালোচক ধূয় ধরিয়াছেন যে প্রেমের কথা কহিলে বঙ্গদেশ অধঃপাতে যাইবে। একথার অর্থ খুব অল্পই আছে। হৃদয়ের শ্রেষ্ঠ বৃত্তি প্রেমকে অবহেলা করিয়া নি তেজষিত সঞ্চয় করিতে চাহেন তিনি মানৰ প্রকৃতি বুকেন না। যে মনুষের হৃদয়ে প্রেম নাই? তেজস্বিত আছে,