পাতা:জ্ঞানাঙ্কুর ও প্রতিবিম্ব - চতুর্থ খণ্ড.pdf/৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

જીઃ ૮નૌદ, રીઝર) কে কাহার অগ্রে উৎপন্ন হুইয়াছে, ও কে কাহার পরে উৎপন্ন হইয়াছে, এই অনুসন্ধান পূর্বক ভাবনা চলিতে থাকে, তখন তাহাকে নিৰ্ব্বিতৰ্ক সমাধি কছে । সবিচার সমাধি কি রূপ ? তস্মাত্র এবং অন্তঃকরণ বিষয়ে যখন দেশ কাল নির্দেশ পূর্বক ভাবনা চলিতে থাকে, তখন তাহাকে সবিচার সমাধি কছে এবং যখন দেশ কাল ধৰ্ম্ম নির্দেশ ব্যতিরেকে উক্ত তন্মাত্র এবং অন্তঃকরণকে বস্তু রূপে ভাবন: করা যায়, তখন তাহণকে নিবিচার সমাধি কহে । যখন অন্তঃকরণ-স্থিত অত্যনপ রজস্তমোবিশিষ্ট সত্ত্বগুণ ভা বন করা যায়, তখন সত্ত্বগুণের প্রাদুভাব বশতঃ আনন্দের रझर्डि इम्ल, ७३ রূপ সমাধিকে সানন্দ সমাধি কহে । যাহারা এই পৰ্যন্ত সমাধি করিয়াই ক্ষান্ত থাকেন,বুদ্ধিরও উচ্চতর প্রদেশে প্ররতি এবং পুৰুষ রূপ যে দুইটি তত্ত্ব আছে, তাছা যাহারা দেখিতে না পান র্তাহারা দেছাড়িমানশূন্য হন, এই পর্যন্ত র্তাহীদের ফল লভৈ হয়, ইহার অধিক নহে। এ জন্য তাহার বিদেহ শব্দে উক্ত হন। পরে যখন রজস্তমোবিবর্জিত বিশুদ্ধ সত্ত্বগুণ মাত্র অবলম্বন ললিত-সৌদামিনী । ● ● করিয়া ভাবনা চলিতে থাকে, তখন জ্ঞানের প্রাদুর্ভাব হওয়াতে সত্ত্বমাত্রের স্ফর্তি হয়, এইরূপ সমাধিকে সম্মিত সমাধি কছে। যাহার শেষোক্ত প্রকার সমাধি সাধন করিয়াই পরিতৃপ্ত থাকেন, আত্মার প্রতি যাহার দৃষ্টি না করেন, তাহাদিগকে লক্ষ করিয়া উক্ত ইয়াছে যে, “তেষাং পরতত্ত্বাদশনাৎ যোগাভাসে ইয়ং' আত্মার আদর্শন হেতু বিদেহ এবং প্রকৃতিলীন ব্যক্তির যে যোগ, তাহা যোগ নহে, তাহা যোগাভাস, অর্থাৎ তাহ সম্যকরূপে যোগ নছে তাহ যোগের আভাস মাত্র। অন্তঃকরণসত্ত্বে সমাধি করিয়া, সাধক, দেহাভিমান হইতে মুক্তিলাভ করিতে পারেন, বিশুদ্ধ সত্ত্বগুণে সমাধি করিয়া সাধক, প্রকৃতির সহিত যোগযুক্ত হইতে । পারেন, কিন্তু তাহাতেও সাধকের সৰ্ব্বতে ভাবে মুক্তিলাভ হয় না । অত্মাতে সমাধি করিতে পরিলেই সাধক প্রকৃতি হইতে মুক্তিলাভ করিতে পারেন । এইরূপ প্রকৃতি হইতে মুক্তিলাভ করাই সাঙ্খ্য ও পাতঞ্জলের মতে পুৰুধের চরম পুৰুষাৰ্থ । ক্রমশঃ 彎