পাতা:জ্ঞানাঙ্কুর ও প্রতিবিম্ব - চতুর্থ খণ্ড.pdf/৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

6.8 ললিত-সৌদামিনী । (ञ्जांनांकू द ८°ौ:, s२४२ ললিত-সৌদামিনী পঞ্চম পরিচ্ছেদ । ہے اپنے عیت و سمتی-جماعتحدہ محضح معمہ ললিতের ভগিনীর নাম গিরিবালা । র্তাহার ভগিনীপতির নাম কেশবচন্দ্র। কেশবের চক্ষে ছানি পড়িয়াছিল ; সেই ছানি কাটাইবার জন্য কলিকাতায় আসিয়াছিলেন । প্রথমতঃ ছানি কাটিবার উপযুক্ত না হওয়ায় তাহাকে অনেক দিবস কলিকাতায় থাকিতে হইল। পরে ছানি কাটিবার যোগ্য হইলে ডাক্তার সাহেব এক চক্ষের ছানি কাটিয়া দিলেন। কছিলেন একটা আরোগ্য হইলে অন্যটা কাটিবেন। ললিত যখন বাট যান তখন একটা চকু বিলক্ষণ আরোগ্য হইয়াছে। কিন্তু ডাক্তার সাহেব তথাপি পড়া শুনা বা যে কোন কার্য্যে অধিকক্ষণ চক্ষুর স্থিরमूमेिं প্রয়োজন হয় তাহা করিতে নিষেধ করিয়াছিলেন। ললিত কলিকাতায় থাকিতে তিনি প্রত্যছই কেশবকে দেখিতে আসিতেন এবং প্রণয় সমস্ত দিবস তাছার নির্কট থাকিয়া কথোপকথন বা ভাস ক্রীড়া করিতেন । কিন্তু ললিত কলিকাতা ত্যাগ করিয়া গেলে কেশবের পক্ষে একাকী থাকা অতিশয় দুরূহু ব্যাপার হইয়া উঠিল। তাছার স্ত্রী পাক শাক ও অন্যান্য গৃহ কার্যে সৰ্ব্বদা ব্যাপৃত থাকিতেন। কেশবের নিকট বসিয়া কথোপকথন করেন এরূপ অবকাশ পাইতেন না । ললিতের গমনের পর প্রথমদিবস কেশব কোন রূপে কাটাইয়া দিলেন । কিন্তু দ্বিতীয় দিবস আর নিষ্কৰ্ম্মা থাকিতে পারিলেন না। একখানি পুস্তক পড়িতে আরম্ভ করিলেন । মনে করিয়াfছলেন দুই এক পৃষ্ঠা পড়িয়াই ক্ষান্ত থাকিবেন, কিন্তু র্তাহার দুর্ভাগ্য বশতঃ পুস্তক খানি এতই ভাল লাগিয়াছিল যে তাহা শেষ না করিয়া রাখিতে পারিলেন না। প্রাতঃকালে ৮টা ৯টার সময় আরম্ভ করিয়াছিলেন, আর রাত্রি ১০ টার সময় শেষ হইল। গিরিবালা পুনঃ পুনঃ নিষেধ করিলেন, কিন্তু কেশবচন্দ্র র্তাহার কথা শুনিলেন না ; কছিলেন “কোন কষ্ট বোধ হইতেছে না তবে কেন না পড়িব ? আর কত কালই বা চক্ষু থাকিতে অন্ধের ন্যায় বসিয়া থাকিব ?” সংক্ষেপতঃ কেশব স্ত্রীর নিষেধ শুনিলেন না । পুস্তক খানি 'এক দিবসেই শেষ করিলেন । , পুস্তক সমাপ্ত করিয়া কেশব হৃষ্টচিত্তে শয়ন করিলেন। কোনই অসুখ নাই। কিন্তু শেষ রাত্রে চক্ষের বেদনায় নিদ্ৰা ভঙ্গ হইয়া গেল। জাগিয়া দেখিলেন আর চক্ষু মেলিতে পারেন না । কোন রূপে সে রাত্রি অতিবাহিত