পাতা:জ্ঞানাঙ্কুর ও প্রতিবিম্ব - চতুর্থ খণ্ড.pdf/৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জানাকুর পেীঃ, ১২৮২) করিলেন। পর দিবস পুনরায় ডাক্তারকে চক্ষু দেখাইলেন। ডাক্তার দেখিয়া কছিলেন “চক্ষুটা আর পূর্ববৎ হইবেক না। কিন্তু অপর চক্ষুটী অস্ত্র করিলে আরোগ্য হইতে পারে।” ডাক্তারের কথা শুনিয়া কেশব রোদন করিতে লাগিলেন । গিরিবালাও তদর্শনে ক্রন্দন করিতে আরম্ভ করিলেন । অতঃপর ডাক্তার সাহেব দুই চারিট সান্তুনা বাক্য প্রয়োগ করিয়া চলিয়া গেলেন । কেশব রোদন করিতে করিতে বলিলেন “এত দিনের পর অন্ধ হইলাম। আর কিছুই দেখিতে পাইব না । কেনই বা তোমার কথা অবহেলা করিলাম ?” গিরিবালা গঢ়স্বরে উত্তর করিলেন “সে কথা ভাবিয়া রোদন করিলে আর কি হইবে ? অদৃষ্টে ষাছা ছিল তাহা ঘটিয়াছে।” কেশব উত্তর করিলেন “না গিরিবালা । তোমার-কথা ন শুনিয়া আমি যখন যে কার্য্য করিয়াছি তা হাতেই কোন না কোন অনিষ্ট ঘটিয়াছে।" তুমি মিথ্যা অদৃষ্টকে দোষিতেছ। এ অামার নিজের দোষ ।" গিরিবালা কেশবের শয্যার পাশ্বে উপবেশন করিয়া অঞ্চল দ্বারা তাহার চকু মুছিয়া দিয়া কছিলেন “অদৃষ্টে লেখা আছে বলেই তুমি আমার কথা ললিত-সৌদামিনী। 在á শুনে নাই। অদৃষ্টের লিপি কি কহারো বারণে বন্ধ হয় ?” গিরিব লীর কথা শুনিয়া কেশব ক্ষণকাল চুপ করিয়া থাকিয় কহিলেন “গিরিবালা আমি আর কিছুই দেখিতে পাইব না।” গ্লুিরিবালা রোদন করিতে করিতে কছিলেন, “যদি এক জনের চোক আর একজনকে দেওয়া যাইত তাহ হইলে মাথার উপর ঈশ্বরই জানেন আমার চোক এখনিই তোমাকে দিতাম । কিন্তু তা যেখানে হবার যে নাই সেখানে যাতে একজনের চোক দুজনের হয় তাই করিব । তুমি যেমন আমারে সব বিষয় বুঝাইয়া দাও আমি তেমনি তোমাকে যা যখন দেখিতে পাই বলিয়া দিব ।” কেশব কহিলেন “আমার আর এক ভয় হচ্ছে, গিরিবালা, আমি অন্ধ হইলাম,তুমি আর এখন আমাকে ভাল বাসবে না। কানা বোলে ঘৃণা করিবে।” গিরিবালা দুই হস্তে কেশবের পদদ্বয় ধারণ করিয়া বলিলেন ‘এমন কথা মুখেওঁ-এনে না। পূর্বে আমি কখন কখন রাগ করিতাম, কখন কখন অভিমান করিডাম কিন্তু এখন আর আমার তাছা কখনই ইচ্ছা হইবে না । আমি দেবতার স্থানে এই ভিক্ষণ চাই যেন জন্ম জন্ম তোমার মতন স্বামী পাই ।” •