ც(ა কেশব কছিলেন “ সে তুমি ভাল বাসিয়া য। বল । অামার মনের কথা ললিত-সৌদামিনী । i | (জ্ঞানাঙ্কুর > Rbペ বামন দাস স্বভাবতঃ যে রাম কানাইকে কন্যা দান করিতে উৎসুক এই, গিরিবালা যে তোমার ন্যায় পত্নী হইবেন তাহা বলা বাহুল্য, কিন্তু
বুঝি আর পৃথিবীতে নাই। । পিারিবালা আর কথা কহুিতে পরিলেন না। স্বামীর নিকট” বসিয়া | উচ্ছসিয়া রোদন করিতে লাগি লেম । ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ । বামনদাস কর্তৃক আনীত পাত্র দর্শন করিয়া সাবিত্রী যার পর নাই বিরক্ত হইলেন । তিনি ভাবিয়াছিলেন বামন দাস ললিতের মতন আর একটা পাত্র আপনিবেন । রামকান ইয়ের ন্যায় পত্র আসিবে তা হা স্বপ্নে ও জানিতেন ন । ললিতের সহিত দেখা হুইবার অগ্রে যদি সাবিত্রী রামকানাইকে দেখিতেন তা হু হইলে বোধ হয় তাহার প্রতি এত গাঢ় ঘৃণা জন্মিত না । ঘরে বয়স্থ কন্যা, পাত্রও বৃদ্ধ নহে ; তাহাদিগের বিবাহ হুইলেও হইতে পারিত । কিন্তু একবার ললিতকে দেখিয়া রামকানাইয়ের ন্যায় পাত্রে কন্যা সমর্পণ করা সাবিত্রীর নিকুট কন্য। জলে নিক্ষেপ করার ন্যায় বোধ হইল। ভাল পাইবার সম্ভব থাকিলে মন্দ কে চায় ? সাবিত্রী একমাত্র কন্যাকে ফেন রামকানাইয়ের করে সমর্পণ করিবেন ? | ! t বামনদাসকে কহিলেন, রামকানাই এতাবৎ টাকার জন্যই বিবাহে সম্মত ছিলেন । তিনি কন্যাকে দেখেন নাই। কন্যা স্বরূপ তাহা অমুসন্ধান করিবার তাহার কোনই প্রয়োজন ছিল না। টাকা মেকি না হইলেই হইল । টাকার জন্যই তাহার বিবাহ, কন্যার জন্য নহে। কিন্তু কলিতাতায় অসিয়া সৌদামিনীকে দর্শন ক্ষরিয়া রম কানাইয়ের চিত্ত পরিবর্তিত হইল ; তাহার অণর অর্থ স্পই। রহিল না । তখন যদি সৌদামিনী লাভার্থ তাহার কিঞ্চিৎ ব্যয় হয় তাহাও তিনি প্রস্তুত । কিন্তু বিবাহের ভয়ানক প্রতিবন্ধক সমুথিত হইল । সাবিত্ৰী কহিলেন তিনি ওরূপ পাত্রে সৌদামিনীকে দান করিতে দিবেন না । বামন দাস বুঝাইলেন, তোষামোদ করিলেন, রাগ করিলেন, সাবিত্রী র্তাহার কথায় কর্ণ-পাতও করিলেন না । ভাব ੇ দেখিয়া রামকানাই “ মহাশয় ! মনের কথা ভেঙ্গে বলাই ভাল ; আমি বাড়ী হইতে সকলকে বিবাহ করিব বলিয়। আসিয়াছি । এমন স্কুলে বিবtহ ম! করিয়া ফিরিয়া গেলে লোকে ঠাটা করিবে । বিশেষ, মুখে যা বলি কিন্তু আমার সংসারে স্ত্রীলোক নাই,
