পাতা:জ্ঞানাঙ্কুর ও প্রতিবিম্ব - চতুর্থ খণ্ড.pdf/৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૪fઃ ૮નૌદ, જે રીઝર) বিবাহ করা আমার আবশ্যক হইতেছে, এমন অবস্থায় আমি পূৰ্ব্বে যে বন্দোবস্ত করিয়াছিলাম তাছার অতিরিক্ত আরও স্বীকার করিতেছি যে, বিবাহ হইলে আমি কন্যা নিজ বাট লইয়। যাইব ।” রামকানাই ভাবিলেন যে, পূৰ্ব্বে উহার কন্যা লইয়া ঘর করিবণর কথা ছিল না । এক্ষণে তাহা স্বীকার করলেন সুতরাং সাবিত্রীর অণর অধিক অপত্তি থাকিবেক না ও বামনদাস ও বিবাহ পক্ষে অধিকতর প্রয়াস পাইলেম । বামনদাস কছিলেন, “যদি তোমাকে কন্যা দেয় তবে তো বাট নিয়ে যাবে ! যে গতিক দেখিতেছি তাছগতে অপ্রতিভ হইয়া যাইতে হইবে সেই সম্ভবই অধিক ।” ক্ষণকাল নীরবে থাকিয়া রামকানাই পুনরায় কছিলেন, “আমার সংসারে একটা স্ত্রীলোক নfহলে চলে না । কি করি যদি পনের টাকা হইতে কিছু বাদ দিলে সন্মত ছম আমার তাছাও কৰ্ত্তব্য ।” রামকানাই যেরূপ টাকার মৰ্ম্ম বুঝিতেন অমন অতি অল্প লো: কেই বুঝে। টাকা তাহার শরীরের শোণিত সদৃশ ; সুতরাং কম টাকা লইলে যে সাবিত্রী তাহাকে কন্যা দণন করিতে পারেন এরূপ ভাবনা র্তাহার পক্ষে বড় আশ্চর্যের ব্যাপার নহে। বামনদাস স্পষ্টই বুঝিতে পারি ললিত-সৌদামিনী । &o লেন, রামকানাই কি জন্য কম টাকা লইয়াও বিবাহ করিতে সম্মত। সুতরাং তিনি রামকানাইকে ষে নিরাশ হুইয়া যাইতে হইবেক ইহাই প্রতিপন্ন করিবার চেষ্টা করিতে লাগিলেন । কহিলেন, "ইহার বড় মানুষ ; ৫৭ টাকার প্রলোভনে ইহারা যে ভুলিবে তাহ বোধ হয় না।” বামনদাসের মনোগত ইচ্ছা যে বিনা পণে রামকানাই সম্মত হইলেই ভাল হয়। বস্তুত তাছাই ঘটিল। আবার ক্ষণকাল চিন্ত করিয়া রামকানাই কছিলেন, “আমার নিতান্তু প্রয়োজন, বিশেষ বিবাহ করিতে অ|সিয়াছি, না করিয়া গমন করিলে লোকে ঠাট্টা বিদ্রুপ করিবে, অতএব আমি বিনা পণেই এ কৰ্ম্ম করিতে সম্মত অাছি।” বামনদাসের ইচ্ছানুরূপ কথা হইল। ভাবিলেন সাবিত্রীর যদি পায় ধরিতে হয়, তিনি তাহণ ও ধরিবেন । যদি বিবা হের জন্য অনণহারে ধন্ন দিতে হয়, তাহাও দিবেন। তিনি দেখিলেন এরূপ সুবিধা আর হুইবে না। এমন ঘর, এত কম ব্যয়ে আর পাওয়া যাইবে না । র্তাহার কুলও এ কৰ্ম্ম না হইলে আর টিকিবে না। এইরূপ চিন্তা করিয়া পুনরায় সাবিত্রীকে বুঝাইবার জন্য অন্তঃপুরে গমন করিলেন । সাবিত্রী দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ইয়াছিলেন— রামকানাইয়ের সহিত সৌদামিনীর