পাতা:জ্ঞানাঙ্কুর ও প্রতিবিম্ব - চতুর্থ খণ্ড.pdf/৬৭

$3 ললিত-সৌদামিনী । অষ্টম পরিচ্ছেদ। স্ত্রীলোকের চরিত্র ও পুৰুষের অদৃষ্টের কথা মনুষ্য দূরে থাকুক, দেবতারা ও বলিতে পারেন না। ললিতের ভগিনী ও ভগিনীপতি এতকাল স অদ্ভবে কালতিপাত করিয়া অসিতেছিলেন। এক্ষণে কেশবের চক্ষু গিয়াছে গিরিবালার উচিত পুৰ্ব্বাপেক্ষা তাহার অধিক যত্ন কর। কিন্তু কি আশ্চৰ্য্য এত কালের পর তাহুদিগের মধ্যে বিবাদ উপস্থিত হইবার সম্ভব হইল। বিবাদ অবণর একটী দাসীর কথায় । দাসীটী বাল্যকালাবধি কেশবের বাটীতে আছে। কলিকাতায় আসিবার সময় কেশব সেই দাসীটা লইয়া আসিয়াছিলেন । সেই দাসীটার দ্বারাই সংসারের কাজ কৰ্ম্ম নির্বাহ হইত। কিন্তু কেশবের চক্ষু যাওয়া অবধি একটা চাকরের প্রয়োজন হইল । সৰ্ব্বদা উপহাকে ডাক্তার থানায় যাইতে হয় কিন্তু এক্ষণে চক্ষু না থাকায় নিজে গিয়া গাড়ি ভাড়া করিয়া যাইতে পারেন না । ললিত ও কলিকাভার নাই যে র্তাহার দ্বারা এক্ষণে কোন সাহায্য হুইবে । দাসীটা পল্লীগ্রামের সুতরাং সে সহরের ভগব ভঙ্গী কিছুই জানে না । এ সমস্ত কারণে একট চাকর রাখা হুইল, কিন্তু দাসী চাকরে এরূপ বিবাদ আরম্ভ হইল যে দাসীটী বহুকালের (জ্ঞানাঞ্চু পৌঃ, ১২৮২ হইলে ও গিরিরণল তাছাকে বিদায় করিয়া দিলেন । দাসী কাদিতেই কেশবের নিকট গমন করিয়া নিজের নির্দোষিত; সপ্রমাণ করিবার জন্য নানাপ্রকার চেষ্ট করিল কিন্তু যখন দেখিল যে কেশবও তাহাকে রপখিতে সম্মত নহেন তখন বলিয়া গেল, “এতকাল আমি ছিলাম কোন কথাটা জন্মায় নি, এখন সকের চাকর অtসিয়াছে আর অমায় দরকার নাই । আমি যদি আপনার মতন কণনা হতে পাত্তেম,তবে আমি থাকুলে কোন আপত্তি থাকৃতে না ।” কেশব দাসীর কথা শুনিয়া দূর২ করিয়া তাহণকে তথা হইতে তৎক্ষণাৎ যাইতে আদেশ করিলেন । ক্ষণকাল পরে কেশবের রাগের সমতা হইলে কেশব ভাবিতে লাগিলেন, এত কালের পর দাসী আজ হঠাৎ এরূপ কথা বলিয়া গেল কেন ? সে যদি কণমা হইভ তাহা হুই লে তাহার থাকার কোন আপত্তি জন্মিত না। ইছার অর্থ আর কি হইতে পারে? কি ভয়ানক কথা কছিল ? ছায়, কেন তাহার নিকট সবিশেষ না শুনিয়া তাহাকে তাড়াইয়া দিলাম ? সন্দেহ একবার উপস্থিত হইলে ক্রমশঃ বৃদ্ধি হয় ভিন্ন কমে না । তুচ্ছ : কথা, যাহাতে পূৰ্ব্বে কর্ণপাতও করিতেন না, এক্ষণে সে গুলি গুৰুতর বলি