পাতা:জ্ঞানাঙ্কুর ও প্রতিবিম্ব - চতুর্থ খণ্ড.pdf/৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

७९ সৌন্দর্য্য। কেশব আবার মৌনাবলম্বন করিয়া বসিলেন, গিরিবল যুবকের নিকট গমন করিলেন এবং তাহার সহিত নানাবিধ গম্প করিতে আরম্ভ করিলেন । কেশব ভাবিলেন চাকর প্রকাশ্যরূপে বাহির হইয়া গিয়া পুনরায় প্রবেশ করিল ; আবার অজ্ঞাতসারে বাহির হইয়া গিয়া পুনরায় প্রকাশ্যভাবে প্রবেশ করবে। " গিরিবাল যুবককে লইয়া অনেকক্ষণ পরে পুনরায় বাহিরে আসিলেন । যুবককে কহিলেন, “এই বেলা যাও । (জ্ঞানাঙ্কুর পৌঃ, ১২৮২ ধ্রুপরে দ্বারদেশে গমন করিয়া তাছাকে বিদায় করিয়া দিলেন। কিন্তু পুনরায় দ্বারকদ্ধ করিবার সময় শব্দ হইল । কেশব জিজ্ঞাসিলেন, “কে ও ?” গিরি বালা দেখিলেন আর গোপন করা যাইবে না, এজন্য কছিলেন, "চাকর ফিরিয়া আসিল কি না দেখিতে গিয়ণছিলাম।” এই কথা বলিতে না বলিতে পুনরায় দ্বারদেশে শব্দ হইল। গিরিবালা গিয়া দ্বার মুক্ত করিয়া দিলেন । এবার চাকর প্রবেশ করিল। প্রবেশ করিয়া কথা কহিতে কহিতে অগসিল । কেশব মনে করি নৈলে প্রকাশ হয়ে পড়বে।” এই লেন, “ এই প্রকাশ্য প্রবেশ কবলিয়। যুবককে লইয়া নিঃশব্দ পদস- রিল।” ক্রমশঃ সৌন্দর্ঘ্য । সৌন্দৰ্য্য কাহাকে বলে ? অবয়বের গঠন কিরূপ হইলে তাহাকে সুন্দর বলিতে পারা যায় তাহার কিছু নিৰ্দ্ধারিত নিয়ম আছে কি ? অয়ি সুন্দরি ! তুমি যে সম্মুখে দৰ্পণ রক্ষণ করত, স্বাধ জলদ পটল বিনিন্দিত চিকুঁরদাম বেণী আকারে নিবদ্ধ করিতেছ ও স্বীয় সৌন্দর্ঘ্যের প্রতিবিম্ব সন্দর্শনে তোমার অধরোষ্ঠ যে ঈষৎ হাস্য প্রসব করিতেছে—তুমিই কি যথার্থ সুন্দরী ? ছে বরাননে ! " তাম্বুল-রাগ-রঞ্জিত অধরোষ্ঠের মনোহারিত্ন দর্পণপটে দেখিতে দেখিতে মনে মনে সৌন্দৰ্য্য গর্বে গৰ্ব্বিত হইতেছ, তুমিই কি যথার্থ সুন্দরী ? হে নবীন ! চঞ্চলচিত্ত নায়ক “বিদ্যুদাম” নিঃসারিণী নেত্রযুগলের অপাঙ্গদৃষ্টিতে মৃতপ্রায় হইতেছে 擊 ‘বলিয়া কি তুমি ভাবিতেছ যে, জগতে তুমি অদ্বিতীয় মুন্দরী ? অয় লাবণ্য ময়ি! বিচেতন ও সংজ্ঞাশুন্য ভাবে প্রেমিক যুবক তোমার বদনের পরম রমনীয় সৌন্দর্য্য এক মনে নিরীক্ষণ করিতেছে বলিয়া কি তুমি ভাবিত্তেছ ষে, জগতে তোমার ন্যায় মুন্দরী আর