পাতা:জ্ঞানাঙ্কুর ও প্রতিবিম্ব - চতুর্থ খণ্ড.pdf/৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্ঞানাকুল পৌঃ, ১২৮২) সৌন্দর্য্য। J: 9 নাই ? আর দুর্গেশনন্দিনীর বিমলে ! শৈলেশ্বর মন্দিরে যুবরাজ জগৎ- | জীবন। সেক্ষপীয়র ও কালিদাস প্রভৃতি কবি-কুল-সবিভাগণের অমৃতময় নাটক সিংহের সহিত সাক্ষাৎ করিতে যাইবে বলিয়া স্বীয় বরবপুঃ অমূল্য বস্ত্রালকারে বিভূষিত করিলে, কিন্তু কেন তুমি দর্পণে স্বীয় রূপের ছায়া দেখিয়! অথরপ্রান্তে ঈষৎ গর্বের হাসি ভাসাইয়া দিলে ? ভাবিলে কি জগতে তোমার ন্যায় রূপদী আর নাই ? সুন্দরীগণ যদি তোমরা এরূপ বিশ্বাস মনে স্থান দিয়। থাক, তবে তাছ। ত্যাগ কর, তোমাদের ভ্রান্তি হুইয়াছে । তাই বলিয়া আমি তোমাদের সেন্দির্যের অপ্রশংসা বা তোমাদিগকে কুৎসিত বলিয়া নির্দেশ করিতেছি না । অামারদের উদ্দেশ্য স্বতন্ত্রবিধ। সৌন্দর্য্য লইয়া জগতে কতই প্ৰলয় ব্যাপার ঘটিয়াছে ও ঘটিতেছে তাহার ইয়ত্তা নাই। এই সৌন্দর্ঘ্যের মোহন মন্ত্রে মুগ্ধ হইয়া দেবদ্বেষী অস্বরগণ অমৃতলাভে বঞ্চিত হইল। এই সৌন্দৰ্য্য হেতু সুন্দ উপসুন্দ ভ্রাতৃদ্বয় অকালে জীবলীলা শেষু করিল। এই সৌন্দৰ্য্যই রোমরাজ্যের পতনের এক মাত্র কারণ । ইহাই ক্লিওপেট্রার নাম অনন্তকাল স্থায়ী করিবার হেতু । এই সৌন্দৰ্য্যই জাহাঙ্গীরের জীবনের অনপনেয় কলঙ্কের নিদান । ইহাই মুরজাহানের নাম ইতিহাস প্রথিত করিবার মুল । এই সৌন্দর্য্যই কাব্য নাটকাদির সকলের মূলে সেন্দির্য্যই কারণস্বরূপ নিহিত । এই সৌন্দর্য্য হইতে বঙ্কিম চন্দ্রের “দুর্গেশনন্দিনী’ ও "বিষবৃক্ষের’ উৎপত্তি । ফলতঃ জনসমাজের অৰ্দ্ধধিক আমোদ সৌন্দর্য্য দ্বারা পরিচালিত । অধিংকণশ কার্যেরই মূলে সেন্দির্য্য সংস্থিত । সেন্দির্ঘ্যের ন্যায় সৰ্ব্বজন বিদিত, সৰ্ব্বদা দৃষ্ট, নিরন্তর নির্বাচিত বিষয় আর কিছুই নাই। তথাপি এ সৌন্দর্য্য যে কি তাহা বলিয় উঠা ভার। কীহাকে সৌন্দর্য বলে তাহ নির্বাচন করা অসাধ্য। ঐ রমণীর লোচনের তারাদ্ধয় নিবিড় কৃষ্ণ, অতএব উনি সুন্দরী, বাড়ুৰ্য্যেদের বড় বয়ের নাকট যেন বাটালী কাট। সুতরাং তিনি সুন্দরী, ও পাড়ার হালদারদের মেজ মেয়ের রঙটা যেন কাচ হলুদ বা দুধে আলতা অতএব তাহার সৌন্দৰ্য্য প্রতি সন্দেহ করা অবিধি । ইত্যাদি প্রকার সৌন্দর্য্যের বিচার ও তাছার বাদামুবাদ ਸ਼ਚਤੇ জন সমাজে শ্রবণ করা যায়। কিন্তু প্রকৃত প্রস্তাবে রঙও নাক, চোক প্রভৃতি লইয়া কি সৌন্দর্য্য হয় ? নাক,চোক,মুখ ভাল হইলেই কি ভtহার সৌন্দর্ঘ্যের প্রতি আর সন্দেছ করবার উপায় নাই ? ইছা অবশ্যই স্বীকার্য যে দেহগত বা বস্তুগত কওক