পাতা:জ্ঞানাঙ্কুর ও প্রতিবিম্ব - চতুর্থ খণ্ড.pdf/৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্ঞানাঙ্কুর পৌঃ, ১২৮২) বর্গের আত্মা মুখসেব্য পদার্থ সমূহে পরিবৃত হইয়া পরম মুখে সময়াতিপাত করিতেছেন, আর উৎকোচগ্রাহী পক্ষপাতী বিচারকের আত্মা যমদূতের কঠোর যন্ত্রণাদায়ক মুদগরাঘাতে ছট, ফটু করিতেছে। সকল খণ্ডের গতিই এই প্রকার। প্রতি খণ্ডের দ্বারদেশে তত্তৎ খণ্ডের নাম লিখিত আছে । তন্মধ্যে এক খণ্ডের নাম “ কেরাণী বারিক ৷” বর্তমান প্রবন্ধে এই খণ্ডের সঙ্গেই আমাদের সম্বন্ধ। এই স্থানে বঙ্গীয় মৃত কেরাণীবগের আত্মার বাস । যমরাজ প্রতি দিন মর্লিং ওয়াক করিয়া থাকেন । এক দিন শমন প্রাতঃ ক্রিয়া সমাপনন্তে বারালদায় বসিয়া চা খাইতেছেন ও দৈনিক সংবাদ পত্র পাঠ করিতেছেন। ষমের সংবাদপত্র পাঠশুনিয়া সকলেই হাসিবেন,--ইমুন, কিন্তু বিবেচনা করিলে সকলেই বুঝিতে পরিবেন, যমপুরীতে সংবাদপত্র থাকা নিতান্তু অসম্ভব বলিয়া বোধ হয় না । পার্থিব সোঁকর্ঘ্য সাধনোপ so যোগী দ্রব্য সমুছের উৎকৃষ্ট আদর্শ ষে শমনপুরীতে থাকিবে তাছার সন্দেহ কি ? যখন ভোগবিলাসিতার সমস্ত বস্তুই তথায় দুষ্পাপ্য নছে, তখন যে স্বৰ্গীয় সমাচারপত্র থাকিবে না, একথা যিনি বিশ্বাস করেন, তিনি যমপুরীর অস্তিত্ব স্বীকার করেন না। যমরাজ কেরাণী মেমোরিয়েল । Sసి চা খাইতে খাইতে এক এক বার চামৃচে রাখিয়া বিশেষ মনোযোগের সহিত সংবাদ পত্র “পাঠ করিতেছেন । এত মনোযোগের সহিত শমনদেব কি সংবাদ পাঠ করিতেছিলেন ? বিবিধ সংবাদ স্তম্ভে দেখিলেন ;– “कृमिहा বিশ্বস্তসুত্রে অবগত হইলাম, যমপুরীর কেরাণীবারিকের আত্মাগণ বঙ্গীয় দুর্ভাগ্য কেরাণীবগের শোচনীয় অবস্থা নিরাকরণের জন্য বিধাতার নিকট আবেদন কুরিবেন ; ফল কি হয় তাহা আমরা পরে জানাইব ।” যমরাজ এই সংবাদ পাঠ করিয়া ক্ষণকাল চিন্তুা করিলেন, ক্ষণেক চিত্তার পর আপন! আপনি কছিলেন –কৈ, আমি তো ইছার বিন্দু বিসর্গও জানিতে পারি নাই । আবেদন অবশ্যই স্থানীয় গবর্ণমেণ্ট হইয়া যাইবে। “আড়দালী”—বলিয়। ডাকিবা মাত্র এক জন তকুমাধারী আড়দালী“হুজুর’ বলিয়া আসিয়া উপস্থিত হইল। যমরাজ কহিলেন “সেকেটর সাহেব কে ছেলাম দেও।” ভূত্য “ষো হুকুম' বলিয়া চলিয়া গেল । ক্ষণবিলম্বে সেক্রেটরী চিত্রগুপ্ত মহাশয় আসিয়া উপস্থিত হইলেন । যমরাজ জিজ্ঞাসা করিলেন, “বিধাতার নিকট প্রদত্ত হুইবার জন্য কেরাণীবারিক হইতে কোন আবেদন এখানে উপস্থিত হইয়াছে কি না?” চিত্রগুপ্ত_