পাতা:জ্ঞানাঙ্কুর ও প্রতিবিম্ব - চতুর্থ খণ্ড.pdf/৭৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কহিলেন “পলিটিকেল আপিস হইতে সংবাদ পাইয়াছি শীঘ্রই কেরাণীবারিকের সুচরিত আত্মাব হুজুরে হাজির হইয়া আবেদন করিবার অমুমতি প্রার্থনা করিবে ।” পর দিন মধ্যাহ্ন সময়ে " যখন শমনদেব বিচারাসনে উপবিষ্ট হুইয়া বিবিধ বিষয়ের মীমাংসা করিতেছেন, এমন সময়ে কেরাণীবগের আত্মার এক আবেদন হস্তে ੰਥ সম্মুখে উপস্থিত হইয়। করপুটে ও বিনয়নত্র বচনে নিবেদন করিল যে “আমরা লোকপিতামহ প্রজাপতি সমীপে এক আবেদন করিতেছি, আপনি ইহাতে অনুমোদন করিলে আমরা চরিতার্থ হুই ।” ধৰ্ম্মরাজ ইঙ্গিত করিবণমাত্র আবেদন প্রদত্ত হইল, পাশ্বস্থ কৰ্ম্মচারী উছা পাঠ করিলেন । আবেদন খানি এই ;– “মহামহিম মহিমাণৰ শ্ৰীলক্ট্রীযুক্ত লোকপিতামহ বিধিবিধায়ক বিধাতৃ মহাশয় প্রবল প্রতাপেষু । বঙ্গীয় মৃতকেরাণীবগের আত্মাগণের সবিনয়নিবেদন । o যেহেতু অপ্রকাশ নাই যে বঙ্গীয় কেরাণীবগের তুল্য হতভাগ্য জীব সংসারে অণর নাই । তাহারা ষে পূৰ্ব্বজন্মে কত পাপ করিয়াছিল, তাছা স্থির করা যায় না। আমরা যে সময়ে কেরাণী ছিলাম, ঙখন উছাতে কিয়ৎ কেরাণী মেমোরিয়েল । (জ্ঞানাঙ্ক । পেষ্ট, ১২৮২ পরিমাণে সুখ ছিল, কিন্তু এখন ঐ বৃত্তি নিতান্ত স্ববৃত্তির ন্যায় নিকৃষ্ট হুইয়াছে। কোন কালেই কেরাণীবর্গের অর্থের অনাটন ঘুচে না । এখন তো অনেক কেরাণীতে অনেক মোট মোট বেতন পাইয়া থাকেন, তথাপি কাহারও কিছু সঞ্চয় হয় না। র্তাহাদের ডাইনে অমৃতে বর্ণয় কুলায় না। কেরাণীগণ কি উপায় করিলে এই শাপ হইতে বিমুক্ত হইতে পারে, তাছা জ্ঞাত হইলে, যদি কোনরূপে অমর। তাহাদিগকে রক্ষণ করিতে পারি তাহার চেষ্টায় নিযুক্ত হই। আপনি বিধাতা, আপনার করতলেই সকলের অদৃষ্ট লিপি । আপনি ভিন্ন কে ইছার উপায় বিধান করিবে। আমরা ভরসা করি যে আমাদের এই আবেদনে আপনার কৰুণাকটাক্ষপাত হয় ইতি । স্বাক্ষর--—” ধৰ্ম্মরাজ আবেদন পত্রের মৰ্ম্মাবগত হইলেন, দেখিলেন, ইহাতে আপত্তির কোন কারণ নাই। বিষয়ও অভ্যন্ত প্রয়োজুনীয়। এক শ্রেণীস্থ লোকের অদৃষ্টলিপির সমালোচন হুইবে। তৎক্ষণাৎ ব্রহ্মার নিকট সংবাদ প্রেরণ করিবার জন্য আয়োজন হইতে লাগিল । বিদ্যুল্লতা নাম্নী স্বর্গবিদ্যাধরী সংবাদ বহন করিয়া লইয়া গেল, এবং চক্ষুর নিমেষে প্রত্যুত্তর আনিয়া দিল । ধৰ্ম্মরাজ উত্তর লিপি পাঠ ক