পাতা:জ্ঞানাঙ্কুর ও প্রতিবিম্ব - চতুর্থ খণ্ড.pdf/৭৮

জ্ঞানাঙ্কুর পেীঃ, ১২ ৮২) রিয়া আবেদনকারীগণকে শুনাইলেম । তাছার মৰ্ম্ম এই ;–“বিষয় অত্যন্ত প্রয়োজনীয় অতএব অমুক তারিখে ফুলবেঞ্চ সমীপে আবেদনকারীগণ উপস্থিত হইলে যথাযোগ্য বিচার কর। যাইবেক ।’ আবেদনকারীগণ সহৰ্ষে প্ৰণাম করিয়া বিদায় হুইল, মনে মনে ভাবিল আমরা সুবিচার পাইব । এই বার অবশ্যই মনের অভিলাষ পূর্ণ হুইবে । নিয়মিত দিবসে সুরলোকে ফুলবেঞ্চের বৈঠক। ধুমের সীমা নাই । বিচারাসনে ব্রহ্মা বিষ্ণু মহেশ্বর বসিয়াছেন। ব্যক্তি গণনায় তিন জন মাত্র কিন্তু মস্তক গণনায় দশ জন বলিলেও অতু্যক্তি হয় না । মহাদেবের পাচ, ব্রহ্মার চারি, আর বিষ্ণুর এক, একুনে দশটা মস্তক, সুতরাং মস্তক গণনায় দশ জন বলিতে পারা যায় । ফলে ফুল বেঞ্চের নিয়মানুসারে তিন হইলেও ফুলবেঞ্চ, দশ হইলেও ফুলবেঞ্চ । বিচার দেখিবার জন্য অনেক দেব দেবর্ষির সমাগম হইয়াছে। শুভ্র শ্মশ্রুরাজি বিরাজিত লর্ড বিশপ বৃহৎ স্পতি মহাশয় এক দিকে বসিয়া আছেন। ইন্দ্র, চন্দ্র, বায়ু, বৰুণ সকলেই আসিয়া উপস্থিত হইয়াছেন । এডবোকেট জেনেরল দক্ষ প্রজাপতি একান্তে বসিয়া ষ্ট্যাণ্ডিং কোন্সেল নারদের সছিত পরামর্শ করিতেছেন । কেবাণী মেমোরিয়েল । AS আবেদনকারীবগের ভাগ্যে কতিপয় নুতন পাস হওয়া ব্যারিস্টার আছেন । উকীল মোক্তার ও দর্শকগণে ঘর রৈ রৈ করিতেছে । আবেদনকারীগণ এক পাশ্বে দণ্ডায়মান । আড়দালীর “চুপ চুপ অস্তে’ বলিয়া আপনারাই গোল বৃদ্ধি ফুরিতেছে। আবেদন খানি পঠিত হইল আবেদনকারীগণের পক্ষ সমর্থনের জন্য এক জন ব্যারিস্টার উঠিয়া সৎযুক্তি দ্বারা আবেদনের পক্ষ সমর্থন করিতে লাগিলেন । ক্ষিপ্ৰহস্ত গণদেব সম্মুখে উপবেশন পুরস্বর সাঙ্কেতিক বর্ণে রিপোর্ট লিখিতেছেন। এ স্থলে পাঠকবর্গের সুবিদিতাৰ্থে নিম্নে বক্ততা ও বিচারের প্রতিলিপি প্রকাশ করা যাইতেছে । আবেদকারীগণের বক্তৃতা । “অদ্য এই বিচার মন্দিরের কি অপূৰ্ব্ব শোভ হইয়াছে! অদ্য স্থষ্টি স্থিতি প্রলয়কারী ত্রিমূর্তি বিচারাসনে উপবিষ্ট । এই ধৰ্ম্মাধিকরণে মীমাংসার জন্য অদ্য যে বিষয়ের অবতারণা হইয়াছে, তাহা অত্যন্ত গুৰুতর। বিষয়টা গুৰুতর বলিয়াই ধৰ্ম্মরাজ শমনদেব বিদুল্লতার দ্বারা লোকপিতামহ সমীপে সংবাদ প্রেরণ করেন ; এবং এ স্থলে এ কথা বলা নিতান্ত অপ্রাসঙ্গিক নয় যে বিষয়টা গুৰুত্তর বলিয়াই সদ্বিচারক বিধি বিধ-- ব্যারিস্টারের